শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
The Daily Post

চন্দনাইশে একই পরিবারে চার প্রতিবন্ধী সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে পরিবার

চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চন্দনাইশে একই পরিবারে চার প্রতিবন্ধী সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে পরিবার

চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড হারলা গ্রামের একই পরিবারে হতদরিদ্র ৪জন প্রতিবন্ধী হওয়ায় সংসারের ব্যয় মেটানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। 

অথচ অন্যদের মত স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে না পারার কারণে নিম্ন মধ্যবিত্ত, ভাসমান, শ্রমজীবী মানুষের পাশাপাশি দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে অসহায় অবস্থায় জীবন যাপন করছে এই প্রতিবন্ধী পরিবারটি। 

পরিবার সূত্রে জানা যায়, হারলা গ্রামের খুইল্ল্যা মিয়ার পরিবারের প্রথম ছেলে শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী মফিজুর রহমান চায়ের দোকানে পানি আনা নেয়ার কাজ করে থাকে এবং তার স্ত্রী অন্যের বাসা বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। বর্তমানে তাদের পরিবারে ২ ছেলে, ৩ মেয়ে রয়েছে। 

ইতোমধ্যে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় এক মেয়ের বিয়ে হয়ে যায়। প্রতিবন্ধী মফিজুর রহমান চায়ের দোকানে পানি দেয়া ছাড়াও আশ-পাশ এলাকায় রোজের গরুর দুধ বিতরণ করে সামান্য কিছু টাকা আয় করে।  

২য় ছেলে প্রতিবন্ধী আজম খাঁন রিক্সা চালিয়ে সংসারের ভরন পোষণ করে থাকে। তার পরিবারে ১ ছেলে, ২ মেয়ে ও স্ত্রীসহ ৫ জনের সংসার চলে রিক্সার উপার্জনের মাধ্যমে। বর্তমানে মোটরচালিত রিক্সা গ্রামে বেড়ে গিয়ে ভাড়া কমে যাওয়ায় বেকায়দায় পড়েছে তার সংসারটি। মেয়ে কমলার বিয়ে পর এক সন্তানের জন্ম হয়। 

সন্তানের জন্মের পর তার স্বামী মারা যায়। কমলা এখন উপজেলা আবাসিক এলাকায় বাসায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। তার একমাত্র ছেলে মো. সাইফুউদ্দিন (২৬) সে ও শারীরিক প্রতিবন্ধী। একই পরিবারে ৪ জন শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী থাকলেও তারা সরকারিভাবে যথাযথ সাহায্য সহযোগিতা পাচ্ছে বলে জানা যায়। 

যদি তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। তবে কমলা সরকারিভাবে ভাতা পেলেও গত কয়েক বছর আগে বন্যায় তার ভাতার বই নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তাকে বর্তমানে কার্যালয়ের পক্ষ থেকে কোনরকম ভাতা নিতে পারছে না জানা যায়।

প্রতিবন্ধীদের পিতা খুইল্ল্যা মিয়া জানান, একটি স্বাভাবিক সন্তান মানুষ করতে পিতা-মাতার খুব কষ্ট করতে হয়। সেখানে আমার পরিবারে ৪ জন প্রতিবন্ধী! তারা কথা বলতে পারে না! তাদের প্রয়োজনের বিষয়ে আমি ছাড়া কেউ বুঝে না। কিন্তু পরপর তিনটি প্রতিবন্ধী সন্তানকে নিয়ে যে মানসিক ও শারীরিক যন্ত্রণায় ভুগেছি তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। 

তিনি আরো বলেন, বিনা সুদে যদি কোনো ব্যাংক ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে তাদের জন্য আর্থিক সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেন তাহলে তার প্রতিবন্ধী সন্তানরা ছোট খাট ব্যবসা বাণিজ্য করে বাকি জীবনটা কোনভাবে কাটিয়ে দিতে পারতো। 

টিএইচ