চট্টগ্রামের চন্দনাইশের কাঞ্চননগরে ৪ কৃষককে অপহরণ করেছে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা। পরে শারীরিক নির্যাতনের পরে মুক্তিপণের বিনিময়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় পাহাড়ের আশপাশ গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। গত শুক্রবার কাঞ্চননগর পাহাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অপহূত চার কৃষক হলেন, উপজেলার কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড কাঞ্চনন কাজীবাড়ি এলাকার সোনা মিয়ার ছেলে মো. ইসমাইল, জোয়ারা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড নগরপাড়া মো. সিরাজের ছেলে আলী মনচুর, এই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড মোহাম্মদপুর আবদুল গনির ছেলে মো. এরশাদ ও রোহিঙ্গা নাগরিক নবী হোসেনের ছেলে মো. ইব্রাহিম।
জানা যায়, গত শুক্রবার কাঞ্চনন পাহাড়ি এলাকায় নিজ নিজ ফলের বাগান থেকে ৪ জনকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায় পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা। পরে অপহূত ইব্রাহিমের মোবাইল নম্বর থেকে আরেক বাগানের মালিক মো. আবু তাহেরের মোবাইলে ফোনে ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ হিসেবে নিয়ে যেতে বলে, অন্যথায় সবাইকে জবাই করে লাশ পাহাড়ের ভিতর পুঁতে রাখা হবে বলে হুমকি দেয়।
এ সময় বাগান মালিক আবু তাহের মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা অপহূত চারজনকে শারীরিক নির্যাতনের শব্দ শুনেন এবং বিষয়টি অপহরণের শিকার ৪ জনের পরিবারকে অবহিত করেন। পরে তাদের পরিবারের সদস্যরা ২ লাখ টাকা নগদ ও ১০ প্যাকেট বেনসন সিগারেট কিনে এলাকার স্থানীয় দিনমজুর আবদুর রহমানের মাধ্যমে পাঠালে সন্ত্রাসীরা তাদের রাতে ছেড়ে দেয়।
ফিরে এসে চার কৃষক জানান, সন্ত্রাসীরা তাদের বলেছে, আজ থেকে তাদের কোন বাধা নেই, বাগানে এসে কাজ করতে পারবে, আর যদি কেউ এসে টাকা খুঁজতে আসে তাহলে এ কাগজটা দেখিয়া দিবা। সন্ত্রাসীরা তাদের বলেছে ‘আমরা হচ্ছি কুকিচিন ন্যাশনাল আর্মি, অফিসার রাতুল মোবাইল ০১৫৮৫৮১০৮৪২। এই বলে একটি চিরকুট ধরিয়ে দিয়ে তাদের থেকে স্বাক্ষর নেন। সেই সঙ্গে অপহূতদের দুটি মোবাইল ফোনও রেখে দেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বাগান মালিক মো. আবু তাহের।
এ বিষয়ে চন্দনাইশ থানার ওসি ইমরান আল হোসাইন বলেন, আমাদের কেউ জানায়নি। থানায় লিখিতভাবে কেউ অভিযোগও করেনি। আমরা এ বিষয়ে কিছু অবগত নই। এদিকে চন্দনাইশে দিন দিন অপহরণ বৃদ্ধি পাওয়ায় পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচালনার দাবি জানিয়েছে সচেতন মহল।
টিএইচ