ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার মেঘনা নদীর তীরবর্তী খেজুর গাছিয়া মিনি কক্সবাজার নাম খ্যাত এলাকায় এখন উপচে পড়া ভিড়। ঈদের ছুটিতে যানজট ও কোলাহলমুক্ত স্থান হিসেবে ভোলার বিভিন্ন স্থানের ভ্রমণ পিয়াসী দর্শনার্থীরা এখানে ছুঁটে এসেছেন। যার ফলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যেও এই খেজুর গাছিয়া মিনি কক্সবাজার এখন দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর অঞ্চলে পরিণত হয়েছে।
সোমবার (৩ জুলাই) সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে ভোলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে দর্শনার্থীরা দলে দলে আসতে শুরু করেছে। বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা হতেই কানায় কানায় ভরে যায় খেজুর গাছিয়া এলাকা।
ঈদের বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে চরফ্যাশনের এই বিচকে বেছে নিয়েছে দর্শনার্থীরা। এতে ভোলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ঘুরতে এসেছে পর্যটকরা। কেউবা পরিবার পরিজন, আবার কেউ প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে বিনোদন উপভোগ করতে এসেছে। যা পুরো এই এালাকাকে সৌন্দর্যময় করে তুলেছে।
তবে দর্শনার্থীদের অভিযোগ এখানে নেই কোন বসার স্থান, ছাতাছাউনি, হোটেল ও রেস্তেরা।
ঘুরতে আসা পর্যটক মহিববুল্লাহ বলেন, আমার জীবনে ৩ বার কক্সবাজার গিয়েছি আর এখানে এসে খেজুর গাছিয়াকেও ওই কক্সবাজারের মতোই লেগেছে।
ঘুরতে আসা পর্যটক ইসরাফিল নাঈম জানান, এখানে এসে আমি খুবই মনোমুগ্ধকর হয়েছি। তবে দুঃখের বিষয় এখানে নেই কোন বসার ছাতা ছাউনী এবং খাওয়ার হোটেল রেস্তোরা।
স্থানীয় জয়নাল হাজারী জানান, খেজুর গাছিয়া মিনি কক্সবাজারের বিষয়ে ইউএনওসহ আমাদের ভোলা ৪ আসনের এওমপি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব ভাইকে জানানো হয়েছে এবং তিনি আশ্বাস দিয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এই খেজুর গাছিয়াকে পুরোপুরি কক্সবাজারের মতো পরিনত করবে।
শশীভূষণ থানার ওসি ম. এনামুল হক বলেন, খেজুরগাছিয়া পর্যটক এলাকাটি আমাদের সার্বিক নজরদারিতে রয়েছে। এবং কেউ পর্যটকদের বিরক্ত করলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
টিএইচ