ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার দুলারহাট থানাধীন মুজিবনগর ইউনিয়নের চর মোতাহার এলাকায় ক্রিকেট খেলার মাঠে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে সুজন মাতাব্বরকে খেলার ব্যাট দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে একই এলাকার বাসিন্দা রাজ্জাকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে সুজন মাতাব্বরের পিতা বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি করে দুলারহাট থানায় একটি হত্যামামলা করেছেন।
আসামিরা হলেন, রাজ্জাক, রিপন, মাসুদ, শাহাদাত, গনি ব্যাপারী, শামিম, সিরাজ। এদের মধ্যে রাজ্জাক, রিপন, মাসুদ ও শাহাদাত উপজেলার দুলারহাট থানাধীন মুজিবনগর ইউনিয়নের চর মোতাহার ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রহিম মাঝির ছেলে। বাকিরা হলেন, রাজ্জাকের দুই মামা গনি ব্যাপারী, সিরাজ ও মামাতো ভাই শামিম। নিহত সুজন মাতাব্বর একই এলাকার শাহে আলম মাতাব্বরের ছেলে।
নিহতের পিতা শাহে আলম মাতাব্বর জানান, গত বুধবার তার ভাই জাকির মাতাব্বরের ছেলে রাহাদ ও রহিম মাঝির ছেলে রাজ্জাক, রিপন ও শাহাদাতসহ এলাকার অন্য ছেলেরা ফসলের মাঠে ক্রিকেট খেলছিল। রহিম মাঝির ছেলে শাহাদাত তার ভাতিজা রাহাদকে খেলার মধ্যে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে।
রাহাদকে গালমন্দ করতে দেখে মাঠের একপাশে থাকা তার ছেলে সুজন মাতাব্বর শাহাদাতকে ডাক দেয়। উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরুর এক পর্যায়ে রাজ্জাক, রিপন ও শাহাদাত তাদের বড় ভাই মাসুদ, তার মামা গনি ব্যাপারী, সিরাজ ও মামাতো ভাই শামিমকে ডেকে নিয়ে এসে রাহাদ ও সুজনকে এলোপাথাড়ি মারধর করে। এসময় রাজ্জাক ক্রিকেট খেলার ব্যাট দিয়ে সুজনের মাথায় আঘাত করলে সুজন মাতাব্বর গুরুতর আহত হয়। সুজনকে তার পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকাতে প্রেরণ করেন।
গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুজনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় সুজনের বাবা বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি করে দুলারহাট থানায় একটি হত্যামামলা করেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরাসহ তাদের পরিবারের লোকজন আত্মগোপন থাকায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।
দুলারহাট থানার ওসি মো. মাকসুদ রহমান মুরাদ জানান, চরফ্যাসন সার্কেল স্যারসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
টিএইচ