সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

চিরিরবন্দরে কংক্রিটের রাস্তা নির্মাণে ঠিকাদারের ধীরগতি, দুর্ভোগ চরমে

চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

চিরিরবন্দরে কংক্রিটের রাস্তা নির্মাণে ঠিকাদারের ধীরগতি, দুর্ভোগ চরমে

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর বাজারে কংক্রিটের রাস্তা নির্মাণে ঠিকাদারের ধীরগতির কাজের ফলে চলাচলকারী যানবাহন ও পথচারীদের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে।

সরেজমিনে কয়েকটি বাজারে গিয়ে জানা যায়, ঠিকাদার অর্ধেক রাস্তা ঢালাই দিয়ে লাপাত্তা হয়ে গেছে। এছাড়াও ধীরগতির কাজের ফলে সাধারণ জনগণসহ শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

ঘুঘুরাতলী বাজারের দোকানদার আবদুল জলিল জানান, যেখানে ঘুঘুরাতলী বাজরে ১ মাসে রাস্তার উভয় পাশে কাজ শেষ করা সম্ভব, সেখানে গত ৬ মাস ধরে একপাশে একটু কাজ করে ঠিকাদার লাপাত্তা গিয়েছে। উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে ব্যস্ততম রাস্তা ঘুঘরাতলী বাজার ও মোড়। এখানে ১১টি উন্নতমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। 

দেশের বিভিন্ন জেলার অন্তত ১২ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী আবাসিক থেকে পড়াশোনা করছে। প্রতি সপ্তাহে অভিভাবকরা কেউ গাড়ি নিয়ে ও বিভিন্ন যানবাহনে আসেন। রাস্তা খারাপের কারণে প্রচুর যানজটের সৃষ্টি হয়। থানা পুলিশ দিয়ে যানজট খুলতে প্রায় ঘণ্টা দুয়েক লেগে যায়। অভিভাবকদের অবর্ননীয় দুর্ভোগের সীমা থাকেনা। 

আমরা ব্যবস্যায়ীরাও চরম দুর্ভোগের শিকার। একই অবস্থা বেলতলী বাজারেরও। অটোচালক মোকলেছুর রহমান জানান, রাস্তার একপাশে অল্প কয় মিটার ঢালাই দিয়ে ঠিকাদার আর আসেনি। বাকি অর্ধেক রাস্তায় বৃষ্টির পানির কারণে গর্ত হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ওই অবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। একই কথা বলেন ভ্যানচালক আশফাকুর রহমান বাবু, দুলাল হোসেন ও ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান।

আমেনা বাকি রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল ও আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলের কয়েকজন অনাবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, ভাঙ্গাচোরা কর্দমাক্ত রাস্তার কারণে ইউনিফর্ম নষ্ট হয়ে যায়। তখন আর ক্লাসে মন বসে না। ওই অবস্থায় সারাদিন ক্লাস করে ফিরতে হয়। আমরা দ্রুত রাস্তার কাজ শেষ করার দাবি জানাচ্ছি। 

এ ব্যাপারে জানতে ইউএনও এ কে এম শরীফুল হক বলেন- ঠিকাদারকে দ্রুত কাজ শেষ করতে কঠোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে জলাবদ্ধতা হয়েছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে ও হচ্ছে। ওই কাজটি উপজেলার আওতাভূক্ত নয়। যানজট এড়াতে ৬ জন আনসার সদস্য দেয়া হয়েছে। কাজটি শেষ কবে করা হবে এ বিষয়ে কথা বলতে ঠিকাদারের লোকজনসহ কাউকে পাওয়া যায়নি।

টিএইচ