ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা থানা কার্যালয়ে ওসির সামনে সাংবাদিকের পা ভেঙে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান মো. খাদেমুল আলম শিশির। ওসির কক্ষে চেয়ারম্যানের সঙ্গে কিছু সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকজন অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন সংবাদ কর্মীদের।
এ সময় চেয়ারম্যান ফোন করে থানার সামনে লোকজন জড়ো করে নির্দেশনা দেন সাংবাদিক থানা থেকে বের হলেই যেন মারধর করা হয়। বারবার শিশির চেয়ারম্যান সংবাদকর্মীকে মিথা চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করার কথাও বলেন। তবে, এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন তারাকান্দা থানার ওসি মো. ওয়াজেদ মিয়া।
ভিক্টিম সংবাদকর্মীর নাম মঞ্জুরুল ইসলাম। তিনি জাগো নিউজের ময়মনসিংহ প্রতিনিধি ও স্থানীয় ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার। গত বৃহস্পতিবার রাতে তারাকান্দা থানা কাযালয়ের অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
সুত্র জানায়, উপজেলার পলাশকান্দা কান্দাপাড়া গ্রামের বৃদ্ধ জালাল উদ্দিনের সঙ্গে প্রতিবেশির ঝগড়া থাকায় আশপাশের সবার বাড়িতে বিদ্যুৎ থাকলেও জালাল উদ্দিনের বাড়িতে কোন বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। পারিবারিক বিরোধের কারণে জালাল উদ্দিনের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে দেয় না স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। বিষয়টি নিয়ে শিশির চেয়ারম্যান বেশ কয়েকবার সালিশ করেন। কিন্ত, মিমাংসা হয়নি। সালিশে শর্ত দেয়া হয় জালাল উদ্দিনের স্ত্রী বৃদ্ধা ফাতেমা খাতুনকে সবার কাছে মাফ চাইতে হবে।
কিন্তু, ফাতেমা খাতুনের দাবি আমি কোন অন্যায় করিনি। আমি কেন মাফ চাইব। তাই বিষয়টি মিমাংসা হয়না। পরে আমি ওসি ওয়াজেদ আলীকে বলি, আপনার সামনে এভাবে আমাদের গালাগালি করছে, আপনার বলার বা করার কি কোন কিছু নেই। তখন কথাটি এড়িয়ে মিমাংসার করার চেষ্টা করেন। এবিষয়ে জানতে চেয়ারম্যান খাদেদুল আলমের নাম্বারে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
তারাকান্দা থানার ওসি মো. ওয়াজেদ আলী বলেন, খামারবাড়িতে দুই পক্ষের উচ্চবাক্য হয়েছে। পরে দুজনই থানায় আসছিল। এখানেও তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে। তবে সাংবাদিক মঞ্জুরুল ইসলাম যদি কোন অভিযোগ করে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার মাসুম আহমেদ ভুঁঞা বলেন, ঘটনার বিস্তারিত উল্লেখ্য করে একটা অভিযোগ দেন। আমি অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নেব। জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, আপনি লিখিত অভিযোগ দেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
টিএইচ