চৌগাছা পৌরসভার গরীব অসহায় অন্তত দুইশ পরিবার বিনামূল্যে পাচ্ছে পাকা টয়লেট। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন ও পৌরসভার সার্বিক তত্বাবধানে এই কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু পরিবার এর সুফল পেতে শুরু করেছেন।
পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে চৌগাছা পৌরসভায় সুপেয় খাবার পানি, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, সড়ক পাকাকরণসহ বেশ কিছু উন্নয়ন কাজ চলছে। ইতোমধ্যে পৌরবাসী বিশুদ্ধ খাবার পানি পেতে শুরু করেছেন। আর পাকা সড়কসহ ড্রেনেজ ব্যবস্থারও সুফল ভোগ করছে।
পৌরসভা শতভাগ স্যানিটেশন ব্যবস্থার মুকুট পরেছে বেশ আগে। এরপূর্বে অনেকে আধাপাকা লেট্রিন ব্যবহার করলেও সম্প্রতি তারা পাকা টয়লেট ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে। পৌর মেয়র নুর উদ্দিন আল মামুন হিমেলের প্রচেষ্টায় পৌরবাসী এই সুফল পাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
২০০৪ সালে চৌগাছা উপজেলা সদরকে নিয়ে গঠিত হয় চৌগাছা পৌরসভা। নবগঠিত পৌরসভার প্রতিষ্ঠাতা প্রশাসক, চেয়ারম্যান ও মেয়র সেলিম রেজা আওলিয়ার পৌরসভা জনগণের প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার কাজ শুরু করেন। দীর্ঘ প্রায় এক যুগ তিনি নিরালসভাবে কাজ করেন বলে জানান পৌরবাসী। এরপর পৌর পিতা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন বর্তমান মেয়র নুর উদ্দিন আল মানুম হিমেল।
বিশ্বব্যাংক দেশের ৩৩১ টি পৌরসভার মধ্যে মাাত্র ৩০টি পৌরসভায় বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহের প্রকল্প হাতে নেয়। সেই ৩০টি পৌরসভর মধ্যে একটি হচ্ছে চৌগাছা পৌরসভা। পৌর মেয়রের সঠিক দিক নির্দেশনায় সকল কাজ অত্যান্ত সাফল্যের সাথে চলতে থাকে, যার কারণে ওই ৩০টি পৌরসভার মধ্যে সকল কাজে এগিয়ে থাকায় চৌগাছা পৌরসভা সেরা পাঁচে অবস্থান করছে এমনটিই জানান সংশ্লিষ্টরা।
পৌরসভায় বসবাসরত অন্তত ২০০ পরিবারকে পাকা টয়লেট দেয়ার লক্ষে কর্তৃপক্ষ একটি তালিকা বিশ্বব্যাংক ও জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রেরণ করেন। যাচাই বাছাই শেষে দেয়া হয় অনুমোদন। পর্যায়ক্রমে তালিকা মোতাবেক সকলেই পাকা টয়লেট পাবেন। প্রতিটি টয়লেট বাবদ ব্যায় নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ হাজার ৫০০ টাকা। ইতোমধ্যে ৩০ থেকে ৩৫টি টয়লেটের কাজ সমাপ্ত হয়েছে।
রোববার (৭ মে) পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে গরিব অসহায় পরিবার, যাদের কাছে একটি পাকা টয়লেট এতোকাল ছিল স্বপ্ন তাদের বাড়িতে শোভা পাচ্ছে এই টয়লেট। এ সময় কথা হয় ৫নং ওয়ার্ডের সুবিধাভোগী উর্মি খাতুন, আমেনা বেগম, সাখাওয়াত হোসেনের সাথে। তারা বলেন, বাড়িতে একটি পাকা টয়লেট খুবই প্রয়োজন ছিলো। পৌরসভার কল্যাণে আজ সেটি পেয়ে আমরা মহাখুশি।
পৌর মেয়র নুর উদ্দিন আল মামুন হিমেল বলেন, পৌর এলাকাতে বিশুদ্ধ পানি ছিল অনেকটাই স্বপ্নের মত সেটি হয়েছে। প্রতিটি পরিবারের টয়লেটের হাউজ থেকে গাড়িতে করে ময়লা তুলে নেয়ার জন্য দুটি গাড়ি আমরা পেয়েছি, দ্রুতই এর সুফল পাবেন পৌরবাসী। সকল উন্নয় কাজকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে তিনি পৌরবাসির সার্বিক সহযোগীতা কামনা করেন।
টিএইচ