শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

চৌগাছায় সড়ক বেহালে জনদুর্ভোগ

চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি

চৌগাছায় সড়ক বেহালে জনদুর্ভোগ

যশোরের চৌগাছার পুড়াপাড়া সড়কসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। ইট বালু খোয়া উঠে সড়কে সৃষ্টি হয়েছে গর্তের। এখন বর্ষা মৌসুম তাই অল্প বৃষ্টি হলেই গর্তগুলো পানিতে ভরে থাকছে ঘটছে দুর্ঘটনা। 

শনিবার (২৪ জুন) সকালে চৌগাছা-পুড়াপাড়া সড়কে এমই এক দুর্ঘটনা হতে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে ট্রাকসহ চালক ও হেলপার। এলাকাবাসী দ্রুত নষ্ট হওয়া প্রতিটি সড়ক মেরামতের জোর দাবি জানিয়েছেন।

চৌগাছা-পুড়াপাড় সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক। পুড়াপাড়া বাজারকে বলা হয় চাল উৎপাদনের রাজধানী। এই বাজারে উৎপাদিত চাল স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে যায় দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলাতে। এ ছাড়া সড়কটি ব্যবহার করেন পার্শ্ববর্তী মহেশপুর উপজেলার অসংখ্য মানুষ। পুড়াপাড়া ভারত সীমান্তের গা ঘেঁষা গড়ে উঠার সুবাদে সীমান্তে আছে বেশ কয়েকটি বিজিবি ক্যাম্প। 

তারাও নিয়মিত সড়কটি দিয়ে উপজেলা সদরসহ জেলা শহরে যাতায়াত করেন। কিন্তু সড়কের বেশ কিছু স্থানে ইট-বালু-খোয়া উঠে সৃষ্টি হয়েছে গর্তের। বর্ষার সামান্য বৃষ্টিতে ওইসব গর্ত পানিতে ভরে থাকে। ফলে পথচারীসহ সব ধরনের যানবাহন চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। সামান্য অসাবধনায় ঘটছে দুর্ঘটনা, আহত হচ্ছেন মানুষ বিকল হচ্ছে যানবাহন।

শনিবার (২৪ জুন) সকালে চৌগাছায় সামান্য বৃষ্টিপাত হয়ে পুনরায় আকাশ পরিষ্কার হয়ে যায়। সকালে চৌগাছা থেকে একটি ট্রাক পুড়াপাড়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। পথিমধ্যে আন্দারকোটা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কে পৌঁছলে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। 

স্থানীয়রা জানান, বৃষ্টির পানিতে সড়কে সৃষ্ট গর্ত পানিতে ভরে ছিল, চালক ওই গর্তকে পাশ কাটিয়ে চলার সময় ট্রাকটি বামে মোড় নিয়ে স্লিপ করে সড়কের নিচে পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। তবে সড়কের পাশে থাকা একটি গাছে বেধে ট্রাকটি থেমে যায়, অল্পের জন্য ট্রাক ও চালক সবাই রক্ষা পেয়েছে। 

স্থানীয় বাসিন্দা ভুট্টা খান বলেন, চৌগাছা-পুড়াপাড়া সড়কে আন্দারকোটা হাইস্কুল সংলগ্ন, মুচি পুকুর সংলগ্ন, পুড়াপাড়া বাজারে প্রবেশ মুখসহ বেশ কিছু স্থানে সৃষ্টি হয়েছে গর্তের, যা পথচারীসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচলে চরম ঝুঁকিপূর্ণ। সড়কটি দ্রুত মেরামত করা না হলে বর্ষার পানিতে গর্তগুলোর পরিধি আরও বেড়ে যাবে তখন ভয়াবহ পরিস্থির সৃষ্টি হতে পারে।

বাসচালক নজরুল ইসলাম, মো. রাজু বলেন, সড়কের বেহাল দশার কারণে অনেক সতর্কতা অবলম্বন করে চলতে হয়, তারপরও ঘটছে দুর্ঘটনা। ইজিবাইক চালক সেলিম হোসেন বলেন, যাত্রী নিয়ে ভাঙা স্থানগুলো অনেক কষ্টে পার হয়। মাঝেমধ্যে ইজিবাইক উল্টে যাওয়ার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। দু-এক দিন পর পরই বাইক গ্যারেজ করানো লাগে শুধু সড়কের এই বেহাল দশার কারণে। 

এ ছাড়া তারনিবাস-মাশিলা সড়ক, দামেদার বটতলা-হাজরাখানা, মুচি পুকুর মোড় টু আন্দারকোটা সড়কসহ বেশ কিছু সড়কের চরম বেহাল দশা বলে জানান সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী পুরোদমে বর্ষা শুরুর আগে এসব সড়কগুলো নতুনভাবে তৈরি করা না গেলেও ভাঙা স্থান মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। 

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী রিসায়াত ইমতিয়াজ হোসেনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। 

টিএইচ