সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে আগাম জাতের বোরো ধানকাটা শুরু হয়েছে। এতে কৃষকরা আনন্দিত হওয়ার কথা থাকলেও হয়েছেন হতাশ। এবার আগাম ছোট জাতের ধানে বিভিন্ন রোগ বালাইয়ের আক্রমণে নষ্ট হয়ে গেছে। থোড় বের হওয়ার পর সাদা ও লালচে হয়ে ধান নষ্ট হয়ে যায়।
প্রথমে জমিতে বাম্পার ফলন দেখে কৃষকরা আনন্দিত হলেও পরে হতাশায় পরিণত হয়। বড় ও মাঝারি জাতের ধান আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে কাটা শুরু হতে পারে। এখন বিভিন্ন হাওরে মাঝে-মধ্যে আংশিক জমিতে আগাম জাতের ধানকাটা চলছে। যদিও ছোট ধানের ক্ষতি বড় ও মাঝারি ধান দিয়ে পূরণ করার আশায় বুক বেঁধেছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।
গত শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, জগন্নাথপুর উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের নারিকেলতলা নয়াবন হাওরে ধানকাটা চলছে। এ সময় কৃষক আছলাম উদ্দিন বলেন, খড়ায় ধান মরে নষ্ট হয়ে গেছে। যে কারণে মন ভালো নেই। ৪ কেদার জমির ধান কাটতে যে খরচ হয়েছে, সে অনুপাতে ধান হবে না। তবুও আশা করছি, বড় জাতের ধান কাটা শুরু হলে এ ক্ষতি পোষানো যাবে।
বর্তমানে প্রতিদিন কমবেশি ঘুর্ণিঝড় ও বৃষ্টিপাত হচ্ছে। মাঝে মধ্যে শিলাবৃষ্টিও হচ্ছে। এখন শুধু শিলাবৃষ্টি ও অকাল বন্যার কবল থেকে রক্ষা হলে বাম্পার ফসল কৃষকদের গোলায় উঠবে। এমন আশা নিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন হাওর পারের কৃষক-জনতা।
টিএইচ