চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে স্বর্ণের বারসহ তিন পাচারকারীকে রক্তাক্ত অবস্থায় আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। আহত দুইজনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এক কেজি ৮শ গ্রাম ওজনের চারটি স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে। গত শুক্রবার রাতে জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ঘুঘরোগাছি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আটকরা হলেন, জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ঘুঘরোগাছি গ্রামের হাসেম খানের ছেলে আছির উদ্দিন মাস্টার, একই গ্রামের মৃত আব্দুল কাদের খানের ছেলে মাজাহার খান পল্টু ও রায়পুর বারান্দি গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে শাহাবুদ্দিন খান (৪০)।
দামুড়হুদা-জীবননগর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জাকিয়া সুলতানা জানান, স্বর্ণ পাচারকারীরা নিজেদের মধ্য দ্বন্দ্বের জের ধরে কোপাকুপির ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই পাচারকারী আহত হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল রক্তাক্ত অবস্থায় তিনজনকে আটক করে।
তিনজনকে উদ্ধার করে প্রথমে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে গুরুতর আহত আছির উদ্দিন মাস্টার ও মাজাহার খান পল্টুকে পুলিশ উন্নত চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।
তিনি আরও বলেন, পাচারকারীদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া চারটি স্বর্ণের বারের ওজন ১ কেজি ৮০০ গ্রাম। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কেউ আহত হয়নি বলে জানান।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আল ইমরান জুয়েল বলেন, দুইজন আহত রোগিকে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন পুলিশের সদস্যরা। তাদের শরীরে আঘাত ও ধারালো অস্ত্রের কোপ রয়েছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ওয়ার্ডে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করা হতে পারে।
টিএইচ