কোটা সংস্কার অন্দোলনকে ঘিরে জয়পুরহাটের পাঁচ থানায় ৬টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় গত ৯দিনে গ্রেপ্তার আসামির সংখ্যা ৮৪ জন। গ্রেপ্তারদের মধ্যে শিক্ষার্থী ও বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা রয়েছেন বলে জানা গেছে।
জয়পুরহাট পুলিশ সুপার কার্যালয়ের পরিদর্শক (ডিআইও-১) মো. কাওসার আলী শনিবার (২৭ জুলাই) এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নতুন করে কোনো থানায় মামলা হয়নি। ৬টি মামলার মধ্যে সদর থানায় ২টি মামলা হয়েছে।
আর ৪টি মামলায় জেলার চার থানা পাঁচবিবি, কালাই, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুরে হয়েছে। এসব মামলায় ৮৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও অনেকেই আসামি হয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলার সময় পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, তাদের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাঁধা দেয়ার অভিযোগে জয়পুরহাট থানায় একটি মামলা হয়। মামলায় ২২ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
এছাড়া গত ২০ জুলাই জয়পুরহাট থানায় আরও একটি মামলা হয়েছে। বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিক্ষোভ মিছিল থেকে পুলিশ ও বিভিন্ন দোকানে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল ছুঁড়ে মারার অভিযোগে এই মামলাটি করা হয়। এই মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরও অনেকেই এর সঙ্গে জড়িত বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
পাঁচবিবি ও আক্কেলপুর থানায় একই দিন গত ২২ জুলাই মামলা করা হয়েছে। নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা পাঁচবিবি থানায় দায়ের করা মামলায় আসামি করা হয়েছে ১৩ জনকে এবং আক্কেলপুর থানায় আসামি করা হয়েছে ১৮ জনকে। এছাড়া কালাই ও ক্ষেতলাল থানাতেও একই দিন গত ২৩ জুলাই মামলা করা হয়েছে।
কালাই থানার মামলায় আসামি হয়েছে ৬ জন এবং ক্ষেতলাল থানায় ১১ জন। এই দুটি মামলাও নাশকতার বলে পুলিশ জানিয়েছে। একটি মামলায় অজ্ঞাত আসামির সংখ্যা উল্লেখ থাকলেও অন্য ৫টি মামলায় অজ্ঞাত আসামির সংখ্যা উল্লেখ নেই।
এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এ জেলায় দিনে শিথিল থাকলেও রাত করে চলছে কারফিউ জারি। তবে জেলার দুটি পৌরসভায় এ আইন চললেও জেলার অন্য এলাকায় তা শিথিল রয়েছে।
টিএইচ