শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
The Daily Post

ঝালকাঠি-খুলনা মহাসড়কে শতাধিক গর্ত দুর্ঘটনার আশঙ্কা

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

ঝালকাঠি-খুলনা মহাসড়কে শতাধিক গর্ত দুর্ঘটনার আশঙ্কা

খুলনা-বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি-রাজাপুর সড়কের বিভিন্ন জায়গা থেকে পিচ উঠে সৃষ্টি হয়েছে বড়-মাঝারি-ছোট বিভিন্ন আকারের গর্ত। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে এসবখানা খন্দে পানি কর্দমাক্ত বালু-পাথর মিশ্রিত পানি জমে তা ছিটে পথচারীদের পোষাকসহ দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। 

শুধু সড়কেই না, গাবখান ব্রিজেও রয়েছে এমন অসংখ্য গর্ত। প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। আহত হয়েছে অনেকেই। বৃষ্টির এ সময়ে চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ছোট-বড় যাত্রীবাহি গাড়ির যন্ত্রাংশ। বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজাপুর উপজেলার বাগড়ি বাজার এলাকা থেকে শুরু করে বাঁশতলা হয়ে বাগড়ি স্কুল পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটারসহ বিভিন্ন স্থানের কয়েক কিলোমিটারজুড়ে সড়কের বিভিন্ন জায়গা থেকে পিচ উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক। 

বাসচালক আলমগীর ও সাইদুল জানান, পদ্মা সেতু হওয়ার পর দ্রুত সময়ে যাত্রী পৌঁছে দিতে হচ্ছে। কিন্তু সড়ক এভাবে ভাঙার কারণে গাড়ি চালাতে বেগ পেতে হচ্ছে এবং সময় ও গাড়ির যন্ত্রাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া সড়কে খানাখন্দ থাকায় ৩ চাকার ছোট যান সড়কের পাশে যেতে চাচ্ছে না। এতে দুর্ঘটনার বড় ধরনের শঙ্কা থাকে। 

ইজিবাইক চালক, সালাম, হাসিব ও আল আমিন জানান, সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যান চলাচলে চরম দুর্ভোগ হচ্ছে। খানাখন্দে গাড়ির চাকা পরে আটকে যায়, স্বাভাবিকভাবে গাড়ি চালানো সম্ভব হচ্ছে না। গাড়ির যন্ত্রাংশের চরম ক্ষতি হচ্ছে। 

খুলনা-বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়কটি পদ্মা সেতু চালু হবার পর গাড়ির চাপ বেড়ে যাওয়ায় বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তার মধ্যে কয়েক কিলোমিটারের সড়কের বিভিন্ন অংশ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যাতায়াতের একমাত্র সড়ক এটি। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করে। যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ থাকায় সড়কের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। এতে যাত্রী ও যানবাহন চালকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মাঝে মধ্যেই ওই এলাকায় প্রাইভেটকার, ট্রাক ও বাস দুর্ঘটনাও ঘটেছে। 

ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাবিল হোসেন জানান, কয়েক বছর আগে সড়কটি সংস্কার করা হয়েছিল। এখন সড়কের বিভিন্ন স্থানের অল্পকিছু এলাকায় খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিতে তা বেড়ে যাচ্ছে এবং বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শিগগিরই ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংষ্কার করে স্বাভাবিক যান চলাচলের উপযোগী করা হবে।

টিএইচ