রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

ঝিনাইদহ চক্ষু হাসপাতালের সহকারী পরিচালকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহ চক্ষু হাসপাতালের সহকারী পরিচালকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

ঝিনাইদহ চক্ষু হাসপাতাল ও অন্ধ পুনর্বাসন কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক মিলন হোসেনের বিরুদ্ধে নানা অনিময় ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালের ৮০জন কর্মকর্তা-কর্মচারী তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির নানা অভিযোগ সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালকের বরাবর লিখিত দিলেও আজ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এতে চরম ক্ষুব্ধ হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

অভিযোগে জানা যায়, মিলন হোসেন ১৯৯৯ সালে চক্ষু হাসপাতালে হিসাবরক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। অন্য কর্মকর্তাদের পদোন্নতী না হলেও কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে কয়েক দফায় নিজের পদোন্নতী করিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি সহকারী পরিচালক পদে পদোন্নতী পেয়েছেন।

হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিযোগ মিলন হোসেন হাসপাতালের চশমা ক্রয়, সাইনবোর্ড নির্মাণ, মোটরসাইকেলের সেড নির্মাণে ব্যাপক দুর্নীতি করেছেন। নির্দিষ্ট সময়ে তিনি অফিসে আসেন না। কর্মচারীদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেন তিনি। 

হাসপাতালে সরবরাহকৃত ওষুধ, উপকরণ, লেন্স ক্রয় থেকে শুরু করে সকল কেনাকাটায় অনিয়ম করেন তিনি। হিসাবরক্ষক থাকাকালে অতিরিক্ত দ্বায়িত্ব পালনের নামে প্রতিমাসে ২৫০০ টাকা নিতেন। নিজের আত্মীয় স্বজনদের বিনামূল্যে চিকিৎসা করান।

হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট সার্জন ডা. মো. আব্দুল হালিম বলেন, মিলন হোসেন ঝিনাইদহের সদ্য সাবেক জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগসাজস করে বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই মোটা টাকার বিনিময়ে জনবল নিয়োগ দিয়েছেন। 

আমাদের কোন পদোন্নতী না হলেও তিনি পদোন্নতী বাগিয়ে নিয়েছেন। সম্প্রতি হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তার বিরুদ্ধে কথা বললে তিনি ছুটির অজুহাতে এখন অফিসে আসেন না। আমরা চাই সমাজসেবা কার্যালয়ে যে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি তার সুষ্ঠু তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক।

সিনিয়র ল্যাব সহকারী তরিকুল ইসলাম বলেন, এর আগে মিলনের দুর্নীতি ধরে ফেলায় দুজন কর্মচারীকে বহিষ্কার করা হয়। এতদিন তার বিরুদ্ধে আমরা কথা বলতে পারিনি। আমরা হাসপাতালের ৮০জন কর্মকর্তা-কর্মচারী অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু অদৃশ্য কারণে আজ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। 

আমরা যে অভিযোগ দিয়েছি তার সুর্নিদিষ্ট প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। হাসপাতালের সাধারণ সম্পাদক ও সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক তার বিরুদ্ধে কেন তদন্ত করছে না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আমরা চাই আমাদের দেয়া অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করা হোক। অভিযোগের ব্যাপারে মিলন হোসেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দিয়েছে তার কোন সত্যতা নেই। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আব্দুল কাদের বলেন, যেহেতু জেলা প্রশাসক ওই হাসপাতালের সভাপতি। বর্তমানে জেলা প্রশাসক নেই এজন্য তদন্ত কমিটি বা ব্যবস্থা নিতে পারছি না। নতুন জেলা প্রশাসক এলেই অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা নিব।

টিএইচ