টাঙ্গাইলের উপ-শহর এলেঙ্গাস্থ বিরতি রিসোর্ট অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে গত রোববার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে তিন খদ্দের ও সাত যৌনকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১ জুলাই) এ ঘটনায় মানবপাচার আইনে মামলা করে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। কালিহাতী থানার এসআই সাজ্জাদ হোসেন বিষয়টি জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তাররা হচ্ছেন- পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুর গ্রামের মৃত আ. করিমের ছেলে মো. মোজাম্মেল, টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ব্রাহ্মণশাসন গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে আফজাল হোসেন, বগুড়া সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে কনক ইসলাম, টাঙ্গাইল শহরের বোয়ালী মধ্যপাড়ার মৃত আবু সাঈদের মেয়ে হাফিজা ওরফে হাবিবা, একই শহরের অলোয়াভবানী এলাকার আ. করিমের মেয়ে শিউলী, একই জেলার গোপালপুর উপজেলার নরিল্যা গ্রামের আ.কাদেরের মেয়ে কুলসুম, টাঙ্গাইল শহরের বিশ্বাস বেতকা (সৃষ্টিস্কুল রোড) এলাকার মো. সিদ্দিকুর রহমানের মেয়ে সারিয়া রহমান জাকিয়া, শহরের বটতলার মরহুম ফজলুর রহমানের মেয়ে ফারজানা, একই জেলার মির্জাপুর উপজেলার কুরণী গ্রামের মৃত কদ্দুছ খানের মেয়ে ঈশা ওরফে শাহনাজ এবং যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার বাঙালিপুর গ্রামের আশরাফ গাজীর মেয়ে মুক্তা।
এসআই সাজ্জাদ হোসেন জানান, এ সময় বিরতি রিসোর্টের মোসলেম উদ্দিন, ফাহাদ ও সিরাজুলসহ আরও ৩-৪জন দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।
কালিহাতী থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুল ফারুক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই সাজ্জাদ হোসেন অভিযান পরিচালনা করে তিন খদ্দেরসহ সাত যৌনকর্মীকে গ্রেপ্তার করেন। এ বিষয়ে এসআই কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৩ জনের নামে মানবপাচার আইনে মামলা করেছেন। গ্রেপ্তারদের সোমবার (১ জুলাই) আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।
টিএইচ