শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
The Daily Post

টানা বৃষ্টিতে কিশোরগঞ্জে জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ চরমে

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

টানা বৃষ্টিতে কিশোরগঞ্জে জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ চরমে

মধ্য আশ্বিনের এমন বৃষ্টি বিগত কয়েক দশকের মধ্যে এলাকাবাসী দেখেনি। কিশোরগঞ্জে দুদিনের ভারী বর্ষণে শহরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে শহরবাসী পড়েছে চরম ভোগান্তিতে। অথচ জনদুর্ভোগ নিরসনে নেই কোনো পরিকল্পনা। ফলে  জলাবদ্ধতা নিরসনে পৌরবাসীর ক্ষোভের অন্ত নেই।

বুধবার রাত থেকে শুরু হওয়া শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত বৃষ্টিতে শহরসহ শহরতলি ও গ্রামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় নিম্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এতে শহরের অধিকাংশ এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সে সঙ্গে বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় কাদাপানি জমে গেছে। পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। দোকানপাট, বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় বন্ধ হয়ে পড়েছে ব্যবসাবাণিজ্য। ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।

শুক্র ও শনিবার সকালে শহর ও গ্রামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে মেইন সড়কসহ সব জায়গায় রাস্তাঘাট ও বাসাবাড়িতে বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে। ফলে মানুষের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। অনেক বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

পৌরবাসীর অভিযোগ, পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা না থাকায় একটু বৃষ্টি হলেই শহরে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। 

জলাবদ্ধতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে অনেকেই বলেন, ‘শহরের ড্রেনেজ ব্যাবস্থা ভালো নয়। এছাড়া পৌর এলাকার পুকুরগুলো ভরাট করে ফেলা হয়েছে। যে কারণে অল্প বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয় শহরে। শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে জনপ্রতিনিধিরা আন্তরিক নন। ফলে জনদুর্ভোগ লেগেই আছে।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে শহরের এক বিশিষ্ট নাগরিক বলেন, চলতি মেয়াদে বর্তমান মেয়র পারভেজ মিয়া ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়নে কোনো কাজই করেননি। এছাড়া ড্রেনেজ সিস্টেম একটি  কারিগরি বিষয়; কিন্তু ঠিকাদার বা পৌর কর্তৃপক্ষ এ দিকটায় নজর দেয়না বললেই চলে।

এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ বলেন, শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা সাধ্যমতো কাজ করছি।

জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় মোট সাড়ে তিন হাজার মৎস্যচাষির ছয় হাজার ৬৪১টি পুকুর ও ফিশারি তলিয়ে গেছে। এতে প্রায় সাড়ে ১৮০০ মেট্রিক টন মাছ ভেসে গেছে। যার বাজারমূল্য ৩৭ কোটি ছয় লাখ ৩৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে কটিয়াদী উপজেলায় এক হাজার ৯২৫টি পুকুর ভেসে গেছে।

টানা দুদিন ধরে মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণে কিশোরগঞ্জ গুচ্ছগ্রামের ৩৪ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সদর উপজেলার মহিনন্দ ইউনিয়নের কাশোরারচর গ্রামের সড়কের পাশের ৩৪টি পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় জীবনযাপন করছে।

টিএইচ