কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে গোশত কাটার নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী মেরামত কিংবা নতুন করে তৈরি করতে টুংটাং শব্দে ব্যস্ত সময় পার করছেন চন্দনাইশ পৌরসভাসহ গোটা উপজেলার আনাচে কানাচে, হাট বাজারে, গ্রাম বাংলার কামার পল্লী।
কামাররা রাত দিন ঘুম বাদ দিয়ে বিক্রির আশায় তৈরি করছে হরেক রকমের দা, ছুরি, বটি। চন্দনাইশে ২টি পৌরসভাসহ ৮টি ইউনিয়নে দুই শতাধিক কামার এ কাজে নিয়েজিত রয়েছে।
দোহাজারী কামারের দোকানের মালিক ননি গোপাল জানান, ভাই আমরা কোন ব্যাংক হতে ঋণ পাই না। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর নতুন দা, বটিসহ অন্য উপকরণের দাম ও কদর বেড়েছে। কামার পল্লীতে আসলে দেখা যাবে কামাররা দম ফেলার সময় নেই। স্বল্প সময়ে চাহিদা মেটাতে সংসারের সচ্ছলতা ফেরানোর আশায় প্রাচীন ঐতিহ্যের ধারকরা এখনো এ পেশার মাধ্যমে সুখ স্বপ্নের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
সরজমিন ঘুরে দেখাযায়, চন্দনাইশের হারলা, দোহাজারী, জোয়ারা, কাঞ্চনাবাদ, বাদামতল, বৈলতলী ইউনুচ মার্কেট, ধোপাছড়ি বাজার, দেওয়ানহাট, বাগিচা হাট, চন্দনাইশ সদর কামারদের যেন দম ফেলার ফুরসত নেই। কয়লা পুড়িয়ে তৈরি করছেন লোহা দিয়ে দা, ছুরি, চাকু, কাটারী বটিসহ ধারালো কর্তন সামগ্রী।
কেউ বা অর্ডার দিয়ে নিজের লোহা দিয়ে তৈরি করে বিক্রি করছেন। কয়েকজন কামার বলেন, এই কাজে অনেক শ্রম ও বাপ দাদার পেশা ছাড়তে পারছে না আজ অনেকেই। ঈদকে সামনে রেখে প্রতিদিন একেকজন কামারের আয় হয় খরচ বাদে দেড় হাজার থেকে দুই হাজার টাকা। লোহার দাম বেশি হওয়ায় নিত্য সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
অনেকেই আবার কোরবানির জন্য এসব ধারালো অস্ত্রের পাশাপাশি কৃষি কাজে ব্যবহার করা যন্ত্র কিনে নিয়ে যায়। সুদিন ছাড়া একজন কামার ৫০০-৮০০ টাকা আয় করে। বৎসরের মধ্যে কামার পরিবাররা ১১ মাস পরেই কোরবানের ঈদের জন্য উপেক্ষা করতে হয়। তাই কোরবান ঈদ এলেই তাদের কর্ম ব্যস্ততা বেড়ে যায়।
টিএইচ