ঠাকুরগাঁওয়ে পড়ে থাকা বিমানবন্দরটি পুনরায় চালু ও মেডিকেল কলেজ স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলার সর্বস্তরের মানুষের আয়োজনে বুধবার (১২ জুন) শহরের চৌড়াস্তায় ঘণ্টাব্যপি এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. অরুনাংশু দত্ত টিটো, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, জেলা আ.লীগের প্রচার সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রিপন, প্রেস ক্লাব সভাপতি মনসুর আলীসহ অনেকে।
বক্তারা বলেন, দেশের উত্তরের ঠাকুরগাঁও জেলা ৫টি উপজেলা নিয়ে গঠিত। এর মধ্যে ৪টি উপজেলা সীমান্ত ঘেঁষা। আর সদর উপজেলার পাশেই দেশের সর্বশেষ জেলা পঞ্চগড়।
হিমালয় পর্বতমালার কাছাকাছি অবস্থান হওয়ায় এই দুই জেলায় ঋতুর পরিবর্তনও অনেক বেশি উপলব্ধি করা যায়। বিশেষ করে শীতকালে তাপমাত্রা রেকর্ড পরিমাণ কমে যাওয়ায় এই অঞ্চলের মানুষের রোগের প্রকোপও অনেক বেশি।
ঠাকুরগাঁও জেলার পার্শ্ববর্তী পঞ্চগড়, নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ ও খানসামা উপজেলার মানুষ চিকিৎসা নিতে ছুটে আসেন ঠাকুরগাঁওয়ে। এছাড়াও এই অঞ্চলের মানুষদের উন্নত চিকিৎসা নিতে যেতে হয় বিভাগীয় শহর রংপুর, দেশের রাজধানী ঢাকা অথবা পাশের দেশ ভারতসহ বিভিন্ন দেশে। যা আপদকালীন সময়ে অনেক দূর ও অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং ব্যয়বহুল।
এছাড়াও ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় স্থানভেদে রাজধানী ঢাকার দূরত্ব প্রায় ৪০০-৫৫০ কিলোমিটাির। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে এই দুই জেলার যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম শুধু সড়ক ও রেলপথ। এই দুই মাধ্যমে ঢাকা পৌঁছাতে কমপক্ষে ১০-১২ ঘণ্টা সময় লাগে।
অনেক সময় যানজটের জন্য এর চেয়েও অধিক সময় লেগে যায় ঢাকা পৌঁছাতে। যদিও আকাশ পথে ঢাকা থেকে সৈয়দপুর যাতায়াত সহজ কিন্তু সৈয়দপুর থেকে ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলার উপজেলাগুলোর দূরত্ব প্রায় ৮০-১৪০ কিলোমিটার। ফলে আকাশ পথেও ঢাকা থেকে এই দুই জেলার মানুষের নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে সময় লাগে প্রায় ৫-৭ ঘণ্টা।
যা এই অঞ্চলের মানুষের জন্য অত্যন্ত কষ্টকর। ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় ও দিনাজপুর জেলার একাংশসহ প্রায় ৪০ লাখ মানুষের যোগাযোগের সহজ কেন্দ্রবিন্দু ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দর। যা বর্তমানে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। তাই বিমানবন্দরটি চালু হলে আর্থ সামাজিক, ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নসহ সকল খ্যাতে উন্নয়ন সাধিত হবে।
তাই স্মার্ট দেশ গড়তে ও আর্থসামাজিকসহ জীবন মানের উন্নয়নে অবিলম্বে ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দর পুনরায় চালু ও মেডিকেল কলেজ স্থাপনের জোর দাবি জানান তারা। মানববন্ধনে জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী, সাংস্কৃতিক কর্মী ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরাসহ অসংখ্য সাধারণ মানুষ অংশ নেয়। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি জামাদেন তারা।
টিএইচ