রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যাপক আকার ধারণ করেছে চিকেন পক্স

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি 

ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যাপক আকার ধারণ করেছে চিকেন পক্স

ঠাকুরগাঁওয়ে চোখ রাঙিয়ে ব্যাপক আকার ধারণ করেছে চিকেন পক্স বা জলবসন্ত। প্রতিবছর শীতের শেষ আর বসন্তের শুরু, এই সন্ধিক্ষণেই দেখা মেলে এ রোগের। তবে এ বছর যেন চিকেন পক্সের পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হতে শুরু করেছে ঠাকুরগাঁওয়ে।

জেলার হরিপুর ও রাণীশংকৈল উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে জলবসন্ত রোগের। চলতি বছরের মার্চের মাঝামাঝি সময়ে জলবসন্তে আক্রান্ত হয়ে অনেকেই ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে। সামপ্রতিক সময়ে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক বাড়ছে। চিন্তিত চিকিৎসক মহলও। 

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে, এ বছর চিকেন পক্সে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন বয়স্ক ও শিশুরা। চিকিৎসা বিভাগ বলছে তিন সদস্যের তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে এ রোগের ধরন নির্ণয় করা হবে। আক্রান্ত রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা প্রদানে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার বনগাঁ ও কিসমত গ্রামে এবং রাণীশংকৈল উপজেলার ধর্মঘট ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে এ রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে ব্যাপক হারে। শরীরে পানিসহ গুটি গুটি র্যাসের দেখা যায়, সাথে থাকে জ্বর আর তীব্র শরীর ব্যথা। এমনই উপসর্গ চিকেন পক্সের। ইতিমধ্যে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হরিপুর উপজেলার কিসমত গ্রামের আমিনুল রহমান এমিলিক (৩২) ও এসান উল্লাহ (৩০) নামে দুজনের মৃত্যু হয়েছে । 

এ রোগে আক্রান্ত রোগী জেসমিন আক্তার জানান, আমি আজ এক সপ্তাহ ধরেই আক্রান্ত। আমাদের গ্রামের ২ জনসহ পাশের গ্রামের আরো ২ জনের মৃত্যুর খবর শুনেছি। আমার খুব ভয় করছে। এমনিতেই শরীরে ব্যাথা অনুভব করছি এবং কোন ধরনের খাবার খেতে পারছি না।

হরিপুর উপজেলার স্থানীয় হোমিও চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম জানান যে প্রতিদিনই ১২ থেকে ২০ জন চিকেন পক্সের রোগী উঠে আসছে। ওষুধের পাশাপাশি তরল খাবার ও পানীয় গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

হরিপুর উপজেলার বনগাঁ এলাকার সাবেক মেম্বার আবুল কাশেম জানান, আগেও আমাদের এ এলাকায় এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে লোকজন। তবে এবার যেহারে এর প্রকোপ দেখা গিয়েছে আর যেভাবে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে তাতে আমরা সবাই বেশ ভয়ের মাধ্যেই আছি।

ঠাকুরগাঁওয়ের সিভিল সার্জন মোহাম্মদ নুর জানান, ৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্তকমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা গ্রামে গিয়ে পরিদর্শন করে এ রোগের ধরন নির্ণয় করে দ্রুত রিপোর্ট দাখিল করবে। এছাড়াও ওই  ওলাকার আরএমও থেকে শুরু করে সকল চিকিৎসক যেনো পিপিই ব্যবহার করেই রোগিদের কাছে যায় এবং চিকিৎসা চালিয়ে যায় সে বিষয়েও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

টিএইচ