মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলে এখনও বন্ধ হয়নি ফিটনেসবিহীন মেয়াদোত্তীর্ণ নৌযান চলাচল। কিছুদিন হাঁকডাক দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা শোনা গেলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এর মধ্যেই মেয়াদোত্তীর্ণ সার্ভে সনদ নিয়ে পণ্য পরিবহন করতে গিয়ে ডুবলো একটি লাইটার জাহাজ।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত সোয়া ১২টায় ৬০০ টন পাথর নিয়ে মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়া এলাকায় ডুবে গেছে লাইটার জাহাজটি।
ডুবে যাওয়া ‘এম ভি মাষ্টার দিদার’ নামে জাহাজটির সার্ভে সনদ মেয়াদোত্তীর্ণ ও ফিটনেসবিহীন ছিল বলে জানিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ শাহীন মজিদ।
তিনি বলেন, পাথর নিয়ে ডুবে যাওয়া জাহাজের মালিক দেলোয়ার হোসেনকে ডাকা হয়েছে। দ্রুত এটি উত্তোলনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ সার্ভে সনদ নিয়ে কিভাবে পণ্য পরিবহন করছে তারও ব্যাখ্যা চাওয়া হবে।
তবে হারবাড়িয়া এলাকায় পাথর নিয়ে জাহাজ ডুবলেও মোংলা বন্দরের মূল চ্যানেল নিরাপদ রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে লাইটার জাহাজের মালিক দেলোয়ার হোসেনকে একাধিকবার ফোন করে তার বক্তব্য জানতে চাইলেও সম্ভব হয়নি। তিনি ফোনটি বারবার কেটে দিয়েছেন।
খুলনা নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোঃ রাশেদুল আলম বলেন, “আমাদের কাজ রেজিষ্ট্রেশন দেওয়া। ফিটনেসবিহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ যেসব নৌযান নদীতে চলাচল করবে তা দেখার দায়িত্ব বন্দর কর্তৃপক্ষের, বিআইডব্লিউটিএ এবং নৌ পুলিশের।”
তিনি আরও বলেন, পাথর নিয়ে যে জাহাজটি ডুবেছে, সেই ‘মাষ্টার দিদার’ নামে জাহজটির বিরুদ্ধে মেয়াদোত্তীর্ণ সার্ভে সনদ ও ফিটনেসবিহীন থাকায় গত মাসে মেরিন কোর্টে মামলা দেয়া হয়েছে। এখনও শুনানি শুরু হয়নি। এরই মধ্যে পাথর নিয়ে ডুবলো জাহাজটি।
তদন্ত কমিটি গঠন করে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান রাশেদুল আলম।
মোংলা বন্দরের ৬ নন্বর মুরিং বয়ায় অবস্থানরত একটি বিদেশি জাহাজ থেকে পাথর বোঝাই করে এম ভি মাষ্টার দিদার লাইটার জাহাজটি নওয়াপাড়ার উদ্দেশ্য ছেড়ে আসে। পথিমধ্যে পশুর নদীর হারবাড়িয়া এলাকায় অন্য একটি লাইটারেজ জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তলা ফেটে ডুবে যায় মাষ্টার দিদার জাহাজ।
তবে এসময় ওই জাহাজে থাকা ১০ জন স্টাফ লাফ দিয়ে প্রাণে বেঁচে যায় বলে জানা গেছে।
ইএফ