রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৪, ২৬ কার্তিক ১৪৩১
The Daily Post

তালতলীতে মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি  

তালতলীতে মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

মাদ্রাসায় ল্যাব সহকারী পদে চাকরি দেয়ার কথা বলে ৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে কড়াইবাড়ীয়া এতিম মঞ্জিল বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. মাহবুব আলমের (নাসির) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত রোববার মো. শাহজালাল হাওলাদার উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর একখানা লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগে জানা যায়, ছেলে মো. শাহদাৎ হোসেনের চাকরির জন্য গতবছর ১২ অক্টোবর কড়াইবাড়ীয়া এতিম মঞ্জিল বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. মাহবুব আলমকে ৯ লাখ টাকা দেন ভুক্তভোগী শাহজালাল হাওলাদার। মাদ্রাসা সুপার দ্রুত চাকরি দেয়ার আশ্বাস দিলেও চাকরি দিতে না পারায় ১৪ মাস পর ৪ লাখ টাকা ফেরত দেন। বাকি ৫ লাখ টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলে বার বার তারিখ দিলেও সেই টাকা ফেরত দেন নাই।

এ ঘটনার একটি ভিডিও পাওয়া যায় ভিডিওতে দেখা যায় ব্যাংক থেকে ৯ লাখ টাকা উঠিয়ে মাদ্রাসা সুপারের হাতে দিয়েছেন ভুক্তভোগী শাহজালাল হাওলাদার। পরে ওই মাদ্রাসা সুপার প্লাস্টিকের একটি ব্যাগে টাকাগুলো গুনে গুনে রেখে দিচ্ছেন। এ সময় তালতলী সালেহীয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী মো. ছগির উপস্থিত ছিলেন ও টাকা গুনে দেন।

ভুক্তভোগী শাহজালাল হাওলাদার বলেন, বাকি পাঁচ লাখ টাকা ফেরত না দিয়ে তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন। তবে চাকরির নামে এমন অভিনব প্রতারণার কঠিনতম শাস্তির দাবিও জানান তিনি।

তবে মাদ্রাসা সুপারের টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে মো. ছগির বলেন, চাকরি দেয়ায় ব্যর্থ হয়ে ৪ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছে বাকি টাকা দেয়ার কথা শুনেছি। তবে ফেরত দিয়েছে কিনা আমি জানি না।

মাদ্রাসার সুপার মো. মাহবুব আলম টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আমি ৭ লাখ টাকা নিয়েছি তা থেকে ৪ লাখ টাকা ফেরৎ দিয়ে বাকী ৩ লাখ টাকা পাবে কিছুদিনের মধ্যে টাকা হয়ে গেলেই সব টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন।

কড়াইবাড়ীয়া এতিম মঞ্জিল বালিকা দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. মারুফ বলেন, টাকা নিয়েছেন, দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও বাকি টাকা দিচ্ছেন না ও চাকরিও দিচ্ছেন না।

তালতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লিটু চট্টপাধ্যায় বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

টিএইচ