সাতক্ষীরার তালায় শারিরীক নির্যাতনের শিকার থেকে মা ও বোনকে উদ্ধার করেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তালা ক্যাম্প কমান্ডার মেজর কামরুল ইসলাম।
গত শুক্রবার সন্ধায় তাদের উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের শুভাষীনি এলাকার মিন্টু মলঙ্গীর বাড়ি থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন তিনি। এসময় সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে সকল আসামিরা পালিয়ে যায়।
উদ্ধাররা হলেন, শুভাষীনি মলঙ্গীপাড়ার মিন্টু মলঙ্গীর স্ত্রী নার্গিস বেগম ও তার শাশুড়ি মহিফুল বিবি। বর্তমানে তারা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে জানাযায়, বিগত ২৭ বছর পূর্বে ইসলামী শরিয়াত মোতাবেক উপজেলার শুভাষীনি গ্রামের মলঙ্গী পাড়ার রহিম মলঙ্গীর ছেলে মিন্টু মলঙ্গীর সঙ্গে রাসেল শেখের বোনের বিয়ে হয়। বিয়ে র পর তাদের সংসারে ৪ মেয়ে জন্ম নেয়। বিয়ের পর থেকেই নানা অজুহাতে সবসময় তার বোনের উপর নির্যাতন করতো তার বোনের শ্বশুর রহিম মলঙ্গী ও শাশুড়ী ফিরোজা বেগম ও দেবর সেলিম মলঙ্গী। গত বুধবার তার বোনকে নির্যাতন করে ঘরে আটকে রাখে।
গত বৃহস্পতিবার মা বোনের বাড়িতে বেড়াতে গেলে তাকেও শারিরীক নির্যাতন করে কাছে থাকা মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে পাশের বাড়ি থেকে রাসেল শেখের কাছে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তাদের উদ্ধার করতে আকুতি জানায়। ফোন পেয়ে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তালা ক্যাম্প কমান্ডারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগর ভিত্তিতে সেনাবাহিনী মিন্টু মলঙ্গীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। বর্তমানে তারা সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন।
এ ঘটনায় রাসেল শেখ জানায়, রাসেল শেখ মা ও বোনের ওপর এমন অমানুষিক নির্যাতনের বিচার দাবি করেন। মিন্টু মলঙ্গীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।
তালা ক্যাম্প কমান্ডার মেজর কামরুল ইসলাম জানান, সাতক্ষীরা সদর থানার মুন্সীপাড়া এলাকার আব্দুল গফফার শেখের ছেলে রাসেল শেখ তার মা ও বোনকে আটকিয়ে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে বলে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে গত শুক্রবার মিন্টু মলঙ্গীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তার মা ও বোনকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এসময় সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা সকলে পালিয়ে যায়। গুরুত্বর আহত মা ও বোনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পরিবারে মাধ্যমে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
টিএইচ