রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

তিতাসে অভিযোগেও বন্ধ হচ্ছে না নদীর মাটি বিক্রি

তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

তিতাসে অভিযোগেও বন্ধ হচ্ছে না নদীর মাটি বিক্রি

কুমিল্লার তিতাসে নদী খননের মাটি বিক্রির বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়ার পরও মাটি বিক্রি বন্ধ হচ্ছে না বলে এমন অভিযোগ করেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইব্রাহিম সরকার। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কলাকান্দি ইউনিয়নের মাছিমপুর ব্রিজ থেকে জয়পুর ব্রিজ এরিয়া পর্যন্ত নদী খননের নামে মাটি উত্তোলন করে অবৈধভাবে নদীর মাটি বিক্রি করছে একটি অসাধু সেন্ডিকেট। 

অবৈধভাবে নদীর মাটি বিক্রির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গত মে মাসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইব্রাহিম সরকার। ওই অভিযোগ সূত্র জানা যায়, উপজেলার মাছিমপুর ব্রিজ থেকে জয়পুর ব্রিজ এরিয়া পর্যন্ত নদীটি কলাকান্দি ইউনিয়নের। 

নদীতে বর্তমানে খননকাজ চলমান থাকায় উপজেলার হাড়াইকান্দি গ্রামের মৃত আর্শাদ মিয়ার ছেলে হাবিবুল্লাহ ও মাছিমপুর গ্রামের মৃত মরম আলীর ছেলে মো. গিয়াসউদ্দিনের নিয়ন্ত্রিত একটি অসাধু সেন্ডিকেট মাছিমপুর ব্রিজ হতে জয়পুর ব্রিজ পর্যন্ত নদীতে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করে ওই  মাটি অবৈধভাবে মাছিমপুরের জলিল মেম্বারের জমি ভরাট করছে। 

ওই এলাকার বিভিন্ন মানুষের কাছেও মাটি বিক্রি করে জমি ভরাট করে দিচ্ছে অভিযোগ যুক্ত সেন্ডিকেট। প্রতি  ফুট  বালু- মাটি ৮-৯ টাকা ধরে বিক্রি করে ওই টাকা সেন্ডিকেট নিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।  হাবিবুল্লাহ ও গিয়াস উদ্দিনের মাটি বিক্রি মহোৎসবের কারণে বড় ধরনের রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। 

আরও জানা যায়, অনুমোদন ছাড়াই চড়া দামে গোপনে রাতে মাটি বিক্রি করে ওই এলাকার বিভিন্ন মানুষের জমি ভরাট করে দিচ্ছে। অথচ নদী খননের মাটি নদীর দুই পাড়ে নির্দিষ্ট স্থানে রাখার কথা থাকলেও তা না করে মাটি বিক্রি করে ফেলছে ওই সেন্ডিকেট।

এতে করে নদীর পাড় হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। অবৈধভাবে নদীর মাটি বিক্রয় করায় সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে হাবিবুল্লাহ বাহারের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি বলেন, এতদিন ড্রেজার বন্ধ ছিল, শুক্রবার (২জুন) থেকে মাটি কাটা শুরু হয়েছে বলে ফোন কেটে দেয়।

টিএইচ