কুমিল্লার তিতাসের বলরামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ আকালিয়ার কবরস্থানের পাশে বালুর মাঠ থেকে আশেয়া বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সে পার্শ্ববর্তী হোমনা উপজেলার নিলখী ইউনিয়নের নিলখী গ্রামের মৃত লাল মিয়ার মেয়ে ও একই ইউনিয়নের মিরাশ গ্রামের ছালাম মিয়ার স্ত্রী বলে জানা গেছে। আয়েশা বেগম দুই সন্তানের মা।
গত রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ আকালিয়ার কবরস্থানের পাশে বালু মাঠ থেকে আয়েশার লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় তার কোনো পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পরে তার ছেলে সৌদি আরব প্রবাসী শির মিয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেখে তার মা আয়েশা বেগম বলে পরিচয় নিশ্চিত করেন। এবং খবর পেয়ে তিতাস থানায় তার পরিবারের লেকজন আসেন।
আয়েশার স্বামী ছালাম মিয়া বলেন, গত এক বছর ধরে আমার স্ত্রী মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। বাড়ি থেকে একাধিক বার বের হয়ে যায়। গত রোববার আমার শালির বাড়ি হোমনা উপজেলার মাথাভাঙ্গা গ্রাম থেকে সকলের অজান্তে বের হয়ে বাড়িতে আর ফেরে না। পরের দিন সকালে আমার ছেলে ফেসবুকে দেখে আমাদেরকে জানালে আমরা তিতাস থানায় গিয়ে আমার স্ত্রীর মরদেহ শনাক্ত করি।
তিতাস থানার ওসি মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে লাশটির মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
টিএইচ