তীব্র খরা ও কাঙ্খিত বৃষ্টি না হওয়ার কারণে পাবনার বেড়া উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলে এ বছর চিনাবাদাম চাষিরা তাদের কাঙ্খিত ফসল পাওয়ার আশার প্রতিফলন না দেখার আশংকা প্রকাশ করেছেন ।
চরাঞ্চলের একমাত্র অর্থকারি ফসল চিনাবাদাম। প্রতিবছর চর নাকালিয়া, চর সাঁড়াশিয়া, চর নাগদাহ, ঘিউর, আঁড়ালিয়া, চর পাইখন্দ ও চর সাফুল্লা মৌজাসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলের হাজার হাজার বিঘা জমিতে কৃষকরা চিনাবাদাম চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হয়ে থাকেন।
কিন্তু এ বছর প্রচন্ড তাপদাহে এবং সময়মতো বৃষ্টিপাত না হওয়ার কারণে এ উপজেলার চরাঞ্চলের চিনাবাদাম ও তৈল জাতীয় ফসল তিলের ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কায় ভবিষ্যৎ চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।
চর সাফুল্লা গ্রামের কৃষক গজনবী বলেন, ১৮ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করছি তা বিক্রি করে সারা বছর ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার খরচসহ সাংসারিক যাবতীয় খরচের চাহিদা মিটিয়ে থাকি। কিন্তু এ বছর তীব্র খরায় বাদাম গাছগুলো মরে যাচ্ছে। যার ফলে বাদামের ফলন কম কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
চর সাঁড়াশিয়া গ্রামের কৃষক আ. সাত্তার বেপারি বলেন, এ বছর ৪ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করছি। গত বার সময়মতো বৃষ্টি হওয়ায় ফলনও ভালো হয়ছিল বিঘা প্রতি ৯ মণ করে বাদাম পেয়েছিলাম, কিন্তু এ বছর খরার কারণে বিঘা প্রতি ৫-৬ মণ হবে কি না সন্দেহ রয়েছে।
এ বিষয়ে বেড়া উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা আ. বারি বলেন, প্রচন্ড খরার কারণে কিছু কিছু চিনাবাদাম, তিল গাছ ও সবজি পটলের গাছ মরে গেছে বা নুয়ে পড়েছে যা খুবই সামান্য পরিমানে। কিন্তু বৃষ্টিপাত হলেই চিনাবাদাম, সবজি ও তিল গাছগুলো পূনরায় উজ্জীবিত হয়ে উঠবে এবং ফলন ভালো হবে বলে আশা করছি।
টিএইচ