উত্তরের হিমেল বাতাসের সঙ্গে তীব্র শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের মানুষ। ঘনকুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় শীতকষ্টে বিপাকে পড়েছে বৃদ্ধ ও শিশুরা। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর)কুড়িগ্রাম কৃষি আবহাওয়া অফিসের তথ্যনুযায়ী সকাল ৯ টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কুয়াশার ঘনত্ব বেশি হওয়ার যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে সতর্কতার সঙ্গে যাতায়াত করছে। শীতের দাপটে গ্রামাঞ্চলের অনেকেই আগুনের কু্ললী জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। দিনের বেলা সূর্যের উত্তাপ না থাকায় হিমেল বাতাসে কমতে থাকে তাপমাত্রার পারদ।
স্থানীয়রা বলেন, হিমালয়ের নিকটবর্তী সীমান্ত ঘেঁষা এ জেলা হওয়ায় অন্য জেলার তুলনায় শীতের তীব্রতাও এখানে বেশি থাকে। শীতের স্থায়িত্বও থাকে বেশি দিন।এখন সন্ধ্যার থেকে সকাল পর্যন্ত বেশি শীত অনুভূত হয়। কনকনে ঠান্ডায় কষ্টে পড়েছে হতদরিদ্র, ছিন্নমূল ও স্বল্প আয়ের শ্রমজীবী মানুষগুলো।
এদিকে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন থেকে ৯ উপজেলার শীতার্ত মানুষের জন্য ৪৯ লাখ টাকা ও ১২ হাজার কম্বল বরাদ্দ দিয়েছে। যা পর্যায়ক্রমে বিতরণ চলছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, গত ১ মাস ধরে এই অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠানামা করছে। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
টিএইচ