সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

দাকোপে বেড়িবাঁধ নদীতে বিলীন, দুই শতাধিক পরিবার পানিবন্দি

দাকোপ (খুলনা) প্রতিনিধি

দাকোপে বেড়িবাঁধ নদীতে বিলীন, দুই শতাধিক পরিবার পানিবন্দি

প্রবল জোয়ারের তোড়ে মুহূর্তের মধ্যে খুলনার দাকোপের পানখালী ইউনিয়নের খোনা গ্রামে পাউবোর ৫০ মিটার বেড়িবাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। নদীর পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ায় ৩টি গ্রামের ২ শতাধিক পরিবার সম্পূর্ণ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। 

তলিয়ে গেছে হাজারো বিঘা রোপা আমনের ক্ষেত। ভেসে গেছে দেড় শতাধিক পুকুরের মাছ। একই স্থানের বাঁধ বার বার নদী ভাঙনের কারণে অনেক পরিবার সর্বশান্ত হয়ে এলাকা ছেড়েছেন। দ্রুত বিকল্প যুগোপযোগী টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।

সরেজমিনে ঘুরে ও স্থানীয় একাধিক এলাকাবাসীর জানিয়েছে, গত শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকী নদীর প্রবল জোয়ারের তোড়ে উপজেলায় পাউবোর ৩১নং পোল্ডারের খোনা গ্রামে ৫০ মিটার বাঁধ মুহূর্তের মধ্যে নদীতে বিলীন হয়েছে। নদীর পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ায় উপজেলা সদর পানখালী ইউনিয়নের ৮নং ও ৯নং ওয়ার্ডের খোনা, বারুইখালী ও পশ্চিম খোনা গ্রামের ২ শতাধিক পরিবার সম্পূর্ণ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

এলাকায় কৃষকের প্রায় হাজার বিঘারও বেশি রোপা আমনের ক্ষেত সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে। এছাড়া গ্রামের দেড় শতাধিক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। একের পর এক ঢাকী নদীর অব্যাহত ভাঙনের শিকারে গত ১০ বছরে প্রায় ২০০টি পরিবার তাদের শতশত বিঘা আমন ফসলি জমি, বসত-ঘরবাড়ি, স্থাপনা, সহায় সম্বল হারিয়ে তারা জীবন জীবিকার সন্ধানে চলে গেছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।

পানখালী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ সাব্বির আহম্মেদ জানান, ঢাকী নদীর প্রবল জোয়ারের তোড়ে গত শুক্রবার খোনা গ্রামের মোল্যা বাড়ির সামনে পাউবোর প্রায় ৫০ মিটার বাঁধ সম্পূর্ণ ঢাকী নদীতে বিলীন হয়েছে। ভাটায় পানি নেমে গেলে বাঁধটি আটকানোর জন্য সংশ্লিষ্ট পাউবোর নেতৃত্বাধীন শ্রমিক ও স্থানীয়রা বাঁধটি আটকাতে প্রস্তুত রয়েছেন।

পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সুজয় কর্মকার বলেন, জোয়ারের সময় স্থানীয় নদ-নদীর মতই ঢাকী নদীর পানি স্বাভাবিক অপেক্ষা ৩ থেকে ৪ ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় খোনা গ্রামে পাউবোর বেঁড়িবাঁধের ৫০ মিটার বাঁধ নদীতে বিলীন হয়েছে। এই মুহূর্তে নদীতে বিলীন হওয়া ভেঙে বাঁধটি আটকানোর জন্য পাউবোর উদ্যোগে সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ভাটায় পানি নেমে গেলে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শ্রমিক কাজ করে জোয়ার আসার আগেই বাঁধটি আটকানো সম্ভব হবে।

টিএইচ