খুলনার দাকোপ উপজেলার পাউবোর ৩১নং পোল্ডারের পানখালী ইউনিয়নের লক্ষ্মীখোলা পিচের মাথা নামক স্থানে ৫০ মিটার বাঁধ নদীতে বিলীন হয়েছে।
গত শুক্রবার রাতে ভদ্রা নদীর প্রবল জোয়ারের তোড়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়া নদীর পানিতে মুহূর্তের মধ্যে ৪টি গ্রামে শতশত কৃষকের হাজার বিঘা রোপা আমনের ফসল তলিয়ে যায় এবং এলাকার প্রায় অর্ধ শতাধিক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। বেড়িবাঁধে ছোটখাটো নদী ভাঙন ও ফাঁটল মেরামতে পাউবোর উদাসীনতা এর জন্য দায়ী মনে করেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে ঘুরে ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লক্ষ্মীখোলা পিচের মাথায় বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে ভদ্রা নদীর ভাঙনে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। এ নদী ভাঙন স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যত পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় গত ১৮ অক্টোবর এ বাঁধটি নদীতে বিলীন হয়। পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভেঙে যাওয়া বাঁধটি আটকানোর জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিয়ে কর্মতৎপরতা চালিয়ে যেতে দেখা গেছে।
মৌখালী গ্রামের কৃষক ফজলু ফকির, আসলাম আহম্মেদ, আমানুল্লাহ শেখ জানান, ছোট ছোট নদী ভাঙনগুলো সংস্কারের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তৃপক্ষকে অবগত করানো হলেও তারা এ ভাঙন রোধকল্পে কেউই এগিয়ে আসেন না।
এছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড দীর্ঘ পরিকল্পনা ছাড়াই তড়িঘড়ি করে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ বা নদীতে বিলীন হওয়া বাঁধ সংস্কারের ফলে ওই বাঁধটি অনেকাংশে দুর্বল থাকে। তারা বলেন, তড়িঘড়ি করে বাঁধ নির্মাণের ফলে দেখা গেছে ওই বাঁধটি সংস্কারের দুই এক বছর যেতে না যেতেই আবারও নদীতে বিলীন হয়েছে। আমরা নদীশাসনপূর্বক বিকল্প বাঁধ নির্মাণ দেখতে চাই।
পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম, বলেন প্রতিটি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ রক্ষণা বেক্ষণের জন্য মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন। লক্ষ্মীখোলা পিচের মাথায় নদীতে বিলীন হওয়া অংশে পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাউবো কর্তৃপক্ষ বাঁধ আটকানোর কাজ শুরু করেছেন এবং বাঁধ আটকানো সম্ভব হবে।
তিনি অপর এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ৩১নং পোল্ডারের দুর্যোগ সহনশীল বাঁধ নির্মাণের জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় মেগা প্রকল্প হাতে নেন। এখন এ বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের চূড়ান্ত নকশা ডিজাইন এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে।
টিএইচ