সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

দিনাজপুরে টমেটোর বাম্পার ফলন কৃষকের মুখে হাসি

দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুরে টমেটোর বাম্পার ফলন কৃষকের মুখে হাসি

শস্যভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত দিনাজপুর জেলা। এবার দিনাজপুর জেলায় ১১০২ হেক্টর জমিতে নাবী টমেটোর চাষ করা হয়েছে। নাবী টমেটো জাতের মধ্যে বিপুল, রানী, রোমা ভি, এফ (প্রোভেসিফ) চাষাবাদ বেশি হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা প্রতি হেক্টরে ৪৯.৯০ টন ধরা হয়েছে; অর্থাৎ ৫৫ হাজার মেট্রিক টন নাবী টমেটো দিনাজপুর জেলাতেই উৎপাদন হবে। 
জেলার সব উপজেলা থেকে সদর উপজেলায় এ বছর ৭৯০ হেক্টর জমিতে টমেটোর চাষ হয়েছে। বৃষ্টি না হলে টমেটো উৎপাদনের বাজার ৩০ থেকে ৪০ দিনের মধ্যে শেষ হবে। 

এর মধ্যে সদর উপজেলার শেখপুরা ৪নং ইউনিয়ন অন্যান্য ইউনিয়নের চেয়ে সিংহভাগ টমেটো চাষের ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। বর্তমানে এই ইউনিয়নে ৫০০ হেক্টর জমিতে টমেটোর চাষাবাদ হয়েছে। সদর উপজেলার ৪নং শেখপুরা ইউনিয়নের গোপালপুরহাটে (গাবুরা) ৩৩ শতকের জায়গায় ওপর টমেটোর বাজার জমে উঠেছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কৃষক উৎপাদিত টমেটো খুব সকালে বাজারে নিয়ে আসেন। 

পুনর্ভবা নদীর ব্রিজের ওপারে বসছে টমেটোর বড় বাজার। এ মৌসুমে বাজারটি ২৩ লাখ টাকায় ইজারা নেয়া হয়েছে। হাটটি গোপাপুরহাট (গাবুরা) নামে শুধু দিনাজপুর জেলায় নয়, দেশের অন্যান্য জেলায়ও পরিচিতি রয়েছে। প্রতিনিয়ত এই বাজার থেকে ৪০-৫০ ট্রাক পণ্য দেশের বিভিন্ন জেলায় পরিবাহিত হয়। 

ব্যবসায়ী মফিজ উদ্দিন বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ঢাকা থেকে এসেছি। প্রতিদিন দুই থেকে তিন  ট্রাক পণ্য ঢাকায় পাঠাই। প্রতি ট্রাকে ৪৫০ থেকে ৫০০ ক্যারেট টমেটো ভর্তি করা হয়। প্রতি টমেটো ক্যারেটে খরচ পড়ে ১০০ টাকা ঢাকা পর্যন্ত নিয়ে যেতে। গাড়িভাড়া বেশি হওয়ায় ক্যারেটপ্রতি দাম বেড়ে যায়। 

কৃষকরা জানান, এক বিঘা জমিতে টমেটো উৎপাদন করতে ৪০-৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতি বিঘায় ২৫০-৩০০ মণ টমেটো উৎপাদিত হয়। এক মণ টমেটো বিক্রির উপযোগী করতে ৩০০-৩৫০ টাকা খরচ হয়। বর্তমান সময়ে বাজারে টমেটোর প্রকারভেদে ৬৫০-৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

জানা গেছে, চাহিদার তুলনায় এবার উৎপাদিত টমেটো বেশি পরিমাণে আমদানি হওয়ায় এবং মধ্যস্থতাকারী ব্যবসায়ীরা নিজস্ব সিন্ডিকেট করায় কৃষকরা ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। 

শেখপুরা ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাকিন বলেন, চাহিদার তুলনায় বর্তমানে কৃষকরা পর্যাপ্ত টমেটো বাজারে সরবরাহ করছেন এবং তারা ন্যায্য দামও পাচ্ছেন। 

টিএইচ