দুপচাঁচিয়া উপজেলায় আলোহালী এলাকায় পুনর্নির্মাণ ও আধুনিকীকরণ পদ্মপুকুর বদ্ধভূমি আনুষ্ঠানিকভাবে গত বৃহস্পতিবার উদ্বোধন করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে বধ্যভূমি চত্বরে উদ্বোধনী সভা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমন জিহাদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বগুড়া জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতা এমনি এমনি আসে নাই। লাখ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি স্বাধীন সার্বভোমত্ব বাংলাদেশ। সেই শহীদদের বধ্যভূমিগুলো আগামী নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে।
উপজেলার আলোহালী বধ্যভূমি পুনর্নির্মাণ ও আধুনিকীকরণের জন্য উপজেলা প্রশাসনসহ রাজনৈতিক দলের নেতা জনপ্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ধন্যবাদও জানান। সভায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হক ও বক্তব্য রাখেন। সমগ্র সভাটি পরিচালনা করেন, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক আজিজুল হক।
উপজেলা ভূতপূর্ব প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্বাবধানে উপজেলার আলোহালী পদ্মপুকুরের গণকবর এলাকায় সীমানা প্রাচীর একটি অত্যাধুনিক স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য প্রায় ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রস্তাবিত বাজেট তৈরি করে কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের জন্য পাঠান।
প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না দেয়ায় স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণ করা সম্ভব হয় নাই। ফলে পদ্মপুকুরপাড়ের গণকবর সংষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষনের অভাবে নিশ্চিহ্ন হতে থাকে এবং স্থানটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। বগুড়া জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বগুড়ায় যোগদানের পর প্রথম সভায় উপজেলার বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণের নির্দেশ দেন। বগুড়া জেলা প্রশাসকের সেই নির্দেশনায় দুপচাঁচিয়া উপজেলায় প্রথম আলোহালী পদ্মপুকুর বধ্যভূমি পুনর্নির্মাণ ও আধুনিকীকরণ করা হলো।
টিএইচ