সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

দুপচাঁচিয়ায় হত্যার রহস্য উদঘাটন গ্রেপ্তার ৩

দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি 

দুপচাঁচিয়ায় হত্যার রহস্য উদঘাটন গ্রেপ্তার ৩

দুপচাঁচিয়া থানা চত্বরে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (আদমদীঘি সার্কেল) নাজরান রউফ ধানক্ষেত থেকে উদ্ধারকৃত মালেক হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করেছেন। 

লিখিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি উল্লেখ করেন, দুপচাঁচিয়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের চ্যাঙ্গা গ্রামের মৃত হাসমত আলী হাসুর ছেলে কিশোর আব্দুল মালেক সরদার দুপচাঁচিয়া সিও অফিস বাসস্ট্যান্ড কাঁচাবাজারের মুরগির দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করে আসছিল। 

তার সাথে গ্রেপ্তারকৃত তারই বড় ভাই চ্যাঙ্গা গ্রামের মৃত হাসমত আলী হাসুর ছেলে তারেক সরদার (১৯), একই গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে মোক্তার (২১) ও পার্শ্ববর্তী আদমদীঘি উপজেলার মুরইল তালুকদারপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মাহবুব আলমের (৩০) বিরোধ সৃষ্টি হয়। 

তারা গ্রামে মাদক সেবন, চুরি ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধজনিত কাজ করে আসছিল। এ বিষয়ে তার বড় ভাই তারেককে এসব ঘটনায় জড়িত না হওয়ারসহ ওইসব অপরাধীর সাথে ওঠাবসা করতেও নিষেধ করে। এতে তার বড় ভাই তারেক ক্ষিপ্ত হয়ে নিহত মালেককে মারপিটও করে। 

নিহত মালেক বিষয়টি পুলিশকে অবগত করবে বলে হুমকি দিলে তারেক আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। তারেক অপর গ্রেপ্তারকৃত আসামি মাহবুব আলম ও মোক্তারকে ঘটনাটি জানালে তারা মোবাইল ছিনতাইসহ তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে এবং পরিকল্পিতভাবে ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার রাতে মালেককে বাড়ি ফেরার পথে কৌশলে চ্যাঙ্গা গ্রামের মাঠের মধ্যে স্যালোমেশিন ঘরের পাশে ধানক্ষেতে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। 

এ সময় তার ব্যবহূত মোবাইল নিয়ে তারা পালিয়ে যায়। গ্রেপ্তারকৃতরা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলেও প্রেস ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করা হয়। পুলিশ গ্রেপ্তারকৃতদের শনিবার (২৯ এপ্রিল) বগুড়া কোর্ট হাজতে প্রেরণ করেছে।

টিএইচ