সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

দুমকিতে একই পদে দুই কর্মকর্তা!

দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

দুমকিতে একই পদে দুই কর্মকর্তা!

পটুয়াখালীর দুমকিতে উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ কর্মকর্তার (পিআইও) শূন্যপদে বদলিকৃত কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেনকে ১০ মাসেও দায়িত্ব দেয়া হয়নি। এ পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন বাউফলের পিআইও রাজিব বিশ্বাস।

অভিযোগ  ওঠেছে, জেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুমন দেবনাথের সাথে অধিক ঘনিষ্ঠতার সুবাদে রাজিব বিশ্বাস যোগদানকারী নতুন পিআইও দেলোয়ার হোসেনকে চার্জ হস্তান্তরে গরিমসি করছেন।

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে সংযুক্ত পিআইও মো. দেলোয়ার হোসেনকে গত বছরের ২৬ অক্টোবর পটুয়াখালীর দুমকিতে বদলির আদেশ দেয় প্রশাসন। উপপরিচালক (প্রশাসন-১) উপসচিব মোহাম্মদ শফিউর রহমান স্বাক্ষরিত আদেশে পরবর্তী পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত প্রধান কার্যালয় থেকে মো. দেলোয়ার হোসেনকে পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা পদে বদলির আদেশ দেন। 

ওই বদলির আদেশ বলে প্রধান কার্যালয় থেকে রিলিজ সাপেক্ষে তিনি গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর পটুয়াখালী জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তা সুমন দেবনাথের দপ্তরে হাজির হয়ে যোগদানপত্র দাখিল করেন। ওইদিনই তিনি (দেলেয়ার হোসেন) তার নতুন কর্মস্থল দুমকিতে গেলেও তাকে চার্জ দেয়া হয়নি। নানা অজুহাতে দীর্ঘ ১০ মাস ধরে ঝুলে আছেন তিনি। অপরদিকে অতিরিক্ত দায়িত্ব থেকে অবমুক্ত না করায় আগের দায়িত্ব পালন করে আসছেন রাজিব বিশ্বাস।

 অভিযোগ ওঠেছে, অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা পিআইও রাজিব বিশ্বাসের সময়কালে (২০২০-২১ অর্থবছর) অন্তত ৩০-৩৫টি অস্তিত্বহীন প্রকল্প বিলের প্রায় কোটি টাকার ঘাপলাসহ লোপাটের তথ্য ধামাচাপা দেয়ার জন্যই চার্জ হস্তান্তর করা হয়নি। 

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে পিআইও রাজিব বিশ্বাস বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অফিস আদেশে তিনি দুমকি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্মার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। অতিরিক্ত দায়িত্ব থেকে তাকে অব্যাহতিপত্র দেয়া হলে অবশ্যই চার্জ বুঝিয়ে দেয়া হবে। কোটি টাকা ঘাপলার অভিযোগও সঠিক নয় বলেও দাবি করেন।

নতুন পিআইও মো. দেলোয়ার হোসেন অভিযোগ করেন, জেলা কর্মকর্তা সুমন দেবনাথ তার যোগদানপত্র গ্রহণ করলেও ওই পদের দায়িত্বরত পিআইও রাজিব বিশ্বাসকে অবমুক্ত না করে একই পদে তার যোগদানপত্র গ্রহণের পর চার্জ হস্তান্তরের জটিলতা সৃষ্টি করেছেন। চার্জ পেতে বার বার জেলা কর্মকর্তা সুমন দেনাথের স্মরণাপন্ন হলেও নানা অজুহাতে সময় ক্ষেপণ করে জটিলতার সৃষ্টি করেছেন। বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন বলেও জানিয়েছেন। 

এ বিষয়ে জেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুমন দেবনাথ বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বদলির আদেশ অনুযায়ী দেলোয়ার হোসেনের যোগদানপত্র গ্রহণ করা হয়েছে। যোগদানের পর থেকে দেলোয়ার হোসেন একদিনের জন্যও কর্মস্থলে যায়নি। তাকে শোকজ করা হয়েছে। 

এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের বিভাগীয় তদন্ত চলছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিদের্শনার আলোকে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। অতিরিক্ত দায়িত্ব থেকে রাজিব বিশ্বাসকে কেন অবমুক্ত করা হয়নি, এমন প্রশ্নের তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।  

টিএইচ