শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী একটি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে জলি ও সাহানা নামে দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ৩ জন। শুক্রবার (২ আগস্ট) শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার কোদালপুর ইউনিয়নের মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জলি আক্তার (২৮) ও সাহানা আক্তার (৫০) রাজধানীর পুরান ঢাকার বাসিন্দা। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন শান্ত, শাওন ও হূদয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মেয়ে দেখতে ৮ জনের একটি দল রাজধানীর পুরান ঢাকা থেকে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা রাতে রওনা করে লঞ্চযোগে সকালে শরীয়তপুরের কোদালপুর ঘাটে আসেন। সেখান থেকে একটি ট্রলারে মেঘনা নদী পাড়ি দিয়ে মাঝের চরের উদ্দেশ্যে রওনা করেন ছেলে পক্ষসহ ১১ জন।
সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ট্রলারটি মেঘনা নদীতে ডুবে যায়। ট্রলার ডুবির পরে চালকসহ স্থানীয় তিনজন সাঁতার কেটে ডাঙায় উঠতে পারলেও বাকিদের কেউ সাঁতার জানতো না। এরপর খবর পেয়ে স্থানীয় জেলেরা ৫ জনকে উদ্ধার করে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জলি ও সাহানাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উদ্ধারকৃত বাকি ৩ জনের মধ্যে পারভীন ও সুফিয়া চিকিৎসাধীন থাকলেও সুস্থ রয়েছেন আকাশ। অন্যদিকে নিখোঁজ বাকি ৩ জনকে উদ্ধার করতে এখনও কাজ করছেন পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।
ঢাকা থেকে আসা আহত আকাশ বলেন, শান্তর জন্য মেয়ে দেখতে আমরা আটজন গত বৃহস্পতিবার রাতে লঞ্চে করে ঢাকা থেকে রওনা করি। সকালে এসে কোদালপুর নেমে মাঝেরচরের ট্রলার না পেয়ে মেয়ে বাড়ির লোকজনকে ফোন করে বলি, তারা একটি ট্রলার নিয়ে আমাদের নিতে আসে। সেই ট্রলারে করে নদীর মধ্যখানে গেলে হঠাৎ অনেক ঢেউ আসে। পরে আমরা ভয়ে সবাই চিৎকার করে নড়াচড়া করলে ট্রলারটি ডুবে যায়। তার একটু পরে একটি জালের ট্রলার এসে আমাদের উদ্ধার করে। আমাদের তিনজন এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে গোসাইরহাট থানার ওসি পুষ্পেন দেবনাথ বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় মেঘনা নদীতে ট্রলার ডুবির ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। এখনো তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। এদের উদ্ধার করতে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন।
টিএইচ