শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
The Daily Post

দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্প পরীক্ষামূলক ট্রেন চলবে ১৫ অক্টোবর

কক্সবাজার প্রতিনিধি

দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্প পরীক্ষামূলক ট্রেন চলবে ১৫ অক্টোবর

তিন মাসের অপেক্ষা। এরপরই চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত চলবে ট্রেন। আগামী ডিসেম্বরই চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন স্থাপিত রেলপথ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই ১৫ অক্টোবর কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালাবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। 

পরীক্ষামূলক ট্রেনটি প্রস্তুত রাখা হয়েছে চট্টগ্রামের পটিয়া স্টেশনে যেটিতে রয়েছে ৬টি বগি ও ২ হাজার ২০০ সিরিজের একটি ইঞ্জিন। কোরিয়া থেকে আনা এসব বগির একেকটিতে ৬০ জন করে যাত্রী বসতে পারবেন। ১৫ অক্টোবর সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম চৌধুরী। 

তিনি জানান, বিশ্বমানের অত্যাধুনিক এবং আইকনিক স্টেশন নির্মাণসহ চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের কাজ প্রায় ৯২ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। রেলওয়ে সূত্রে জানায়, প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজারে ঝিনুকের আদলে বিশ্বমানের সর্বাধুনিক রেলওয়ে স্টেশনের নির্মাণের পাশাপাশি দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মোট ৯টি স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে। 

এ ছাড়া সংরক্ষিত বন এলাকায় রেললাইন স্থাপনে বন্য হাতিও বন্যপ্রাণী চলাচলের জন্য ওভারপাস নির্মাণ করা হয়েছে। এ বছরই ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালু করার পরিকল্পনা আছে সরকারের। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। 

বাকি কাজ শেষ হলেই পর্যটন নগরী কক্সবাজার রুটে ছুটবে ট্রেন। পরীক্ষামূলক ট্রেনটি প্রস্তুত রাখা হয়েছে চট্টগ্রামের পটিয়া স্টেশনে যেটিতে রয়েছে ৬টি বগি ও ২২০০ সিরিজের একটি ইঞ্জিন। কোরিয়া থেকে আনা এসব বগির একেকটিতে ৬০ জন করে যাত্রী বসতে পারবেন। ১৫ অক্টোবর সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। সেদিন চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারে ট্রেনটির ট্রায়াল রান হবে। 

জানা গেছে, পুরো প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে শুধু কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনটি নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ২১৫ কোটি টাকা। সামগ্রিক প্রকল্পের প্রায় কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। সামান্য কিছু কাজ বাকি আছে। প্রাথমিকভাবে দুই জোড়া ট্রেন চলবে। পরে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে। ঢাকা থেকে যে-সব ট্রেন চট্টগ্রাম পর্যন্ত আসে, সেসব ট্রেনের শেষ গন্তব্য কক্সবাজার হবে। এছাড়া সম্পূর্ণ নতুন একটি ট্রেন চালু হবে। 

বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চালু হতে কয়েক মাস সময় লাগবে। আবুল কালাম চৌধুরী বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে আন্ত.নগর এসি চেয়ারের ভাড়া ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকার মতো, এখানে হয়তো ১২০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এদিকে শেষ হয়েছে ৯টি স্টেশন নির্মাণকাজও। এর মধ্যে রয়েছে দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, হারবাং, চকরিয়া, ডুলাহাজরা, ইসলামাবাদ, রামু ও কক্সবাজার। 

এসব স্টেশনে থাকবে কম্পিউটার বেইজড ইন্টারলক সিগন্যাল সিস্টেম এবং ডিজিটাল টেলিকমিউনিকেশন সিস্টেম। দোহাজারী থেকে চকরিয়া এবং চকরিয়া থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথে ৩৯টি ব্রিজ ও আন্ডারপাসসহ ২৫১টি কালভার্ট নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।

টিএইচ