শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১
The Daily Post

দোহারে পদ্মা নদীতে রাসেলস ভাইপার আতংঙ্ক

নবাবগঞ্জ, দোহার (ঢাকা)  প্রতিনিধি

দোহারে পদ্মা নদীতে রাসেলস ভাইপার আতংঙ্ক

ঢাকার দোহারে পদ্মানদী জুড়ে চলছে রাসেলস ভাইপার আতংঙ্ক। শুক্রবার (২৮ জুন) ভোরে পদ্মায় আবারও ধরা পড়লো বিষাক্ত রাসেলস ভাইপার সাপ। ফলে সারা এলাকা জুড়ে চলছে রাসেলস ভাইপার আতংঙ্ক। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে ব্যাপক গুঞ্জন। স্থানীয় ইউপি সদস্য  আবুল কাশেম মেম্বার বলেন, জেলেরা পদ্মায় মাছ ধরছিলো।  স্থানীয় জয়দেবপুর নামক ১২ বিঘা এলাকায় শুক্রবার (২৮ জুন) ভোরে হঠাৎ একটি জাল পানি থেকে উঠানোর সময় বেশ ওজন মনে হচ্ছিলো। এসময় বেশ কয়েকজন উৎসুক জেলে মিলে জালটি উঠান। 

এসময় তারা জালের মধ্যে বিষাক্ত রাসেলস ভাইপার দেখতে পায়। পরে তারা মৈনটঘাট এলাকায় সাপটি নিয়ে আসে। সকালে জেলেসহ আমজনতা সাপটিকে মেরে ফেলে। সাপটি প্রায় ৫০ ইঞ্চি লম্বা।

অপরদিকে দোহার ও নবাবগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে একাধিক বিষাক্ত রাসেলস ভাইপার সাপ ধরা পড়ায় জনমনে আতংঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে কৃষক ও জেলেদের মধ্যে এক ধরনের ভয় বিরাজ করছে। অনেক কৃষকই এখন তার সবজী ক্ষেতে যেতে ভয় পাচ্ছেন। দল বেধে কৃষকরা জমিতে যাচ্ছেন হাতে লাঠি নিয়ে। এছাড়া দোহার ও নবাবগঞ্জ দিয়ে প্রবাহিত পদ্মা, ইছামতি, কালিগঙ্গা নদীসহ বিভিন্ন খাল ও বিলে জেলেরা মাছ ধরতে যাওয়া নিয়েও এক ধরনের আতংঙ্কের আছে।

দোহার উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা শেখ আতিয়ার পদ্মায় মাছ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তিনি বলেন, বেশ কয়েকদিন যাবত আমরা খুবই আতঙ্কের মধ্যে কাটাচ্ছি। রাসেলস ভাইপার সাপের জন্য। 

উল্লেখ্য যে, গত বুধবার নারিশা জোয়ার এলাকায় ফরিদপুরের সদরপুর নারিকেল বাড়িয়া চরে জেলের জালে ধরা পড়েছিলো রাসেলস ভাইপার যা প্রায় ৪৫ ইঞ্চি লম্বা ছিলো। সাপটি উপজেলা প্রশাসন  জীবন্ত অবস্থায় (স্নেকস রেসকিউ) সাপ উদ্ধারকারী দলকে গবেষণার জন্য দিয়েছে।

দোহার ইউএনও জাকির হোসেন বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নেয়া হচ্ছে। তিনি সকলকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আতঙ্কিত না হয়ে উপস্থিত বুদ্ধি প্রয়োগের মাধ্যমে পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হবে।

দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সের ডা. জসীম উদ্দিন বলেন, রাসেলস ভাইপারকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। বিশেষ করে কৃষক ও জেলেরা সাবধানে কাজ করবেন। কাউকে আঘাত করলে দ্রুত সময়ে হাসপাতালে চলে আসতে হবে। সাপে কামড়ানো রোগীদের চিকিৎসার জন্য ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা আছে। প্রতিটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে এ বিষয়ে অবগত করা আছে। 

টিএইচ