বাণিজ্যিকভাবে আনারস চাষে সফলতা অর্জন করে ব্যাপক সারা জাগিয়েছেন উদ্যোক্তা বেলাল আহমদ। পাশাপাশি রসালো সুমিষ্ট সুস্বাদু বড় আকারের আনারস ইতোমধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
বাণিজ্যকভাবে আনারস চাষে সফলতা অর্জনকারী সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের দ্বীনেরটুক গ্রামের বেলাল আহমদ জানান, ২০১৪ সালে সাবেক কৃষি কর্মকর্তা হারুন অর রশীদের পরামর্শে উৎসাহী হয়ে ওই বছরের নভেম্বরে বাড়ির আঙ্গিনায় ১ হাজার ৬শ আনারসের চারা রোপণ করেন।
প্রথম বছরেই আশানুরূপ সফলতা লাভ করায় পিছনে ফিরে আর তাকাতে হয়নি তাকে। এরপর থেকে প্রতিবছর আনারসের চারা বাড়াতে থাকেন তিনি। বর্তমানে তার দেড় বিঘা জমিতে ৬ হাজার আনারসের চারা রয়েছে। আনারস আবাদে চলতি বছরের এযাবত প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকা আয় করেছেন তিনি।
এছাড়াও প্রতিটি আনারস থেকে বের হওয়া চারা বিক্রি করেও বাড়তি আয় করার সম্ভাবনার মুখ দেখছেন তিনি। শুধু আনারস চাষেই ক্ষান্ত হননি উদ্যোক্তা বেলাল আহমদ, পাশাপাশি তার বাগানে রয়েছে ১হাজার সুপারি, ১শ লিচু, ৩৫টি লটকন, ৫০টি কাঁঠাল, ১৭টি আম, ১৫টি কমলা, ১২টি বেল, ৭টি গোলমরিচসহ বিভিন্ন প্রজাতীর ফলের গাছ।
এদিকে খবর পেয়ে তার বাগানে দর্শনার্থীরা আসছেন, অনেকে নিচ্ছেন পরামর্শ। স্থানীয় ফলের আড়তদাররাও আনারস কিনে নিচ্ছেন।
দর্শনার্থী ফখর উদ্দিন জানান, বেলালের আনারস খুবই সুস্বাদু। আমার জানামতে এ আনারসের মতো রসালো সুস্বাদু আনারস আর দেখিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ মহসিন প্রকল্পটি ঘুরে দেখে জানান, এ অঞ্চলে আরেকটি নতুন চাষের সংযোজন হলো। কৃষক মঞ্জুরুল আহমদ বেলালকে সবধরনের পরামর্শ প্রদান করবে কৃষি অফিস। সরকারি বিভিন্ন অনুদান দিয়ে ও সহযোগিতা করা হবে তাকে।
টিএইচ