সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে সুরমা নদীর তীর এখন ময়লার ভাগাড়। কয়েকটি এলাকার ময়লা-আবর্জনা নদী ও নদীর তীরে ফেলা হচ্ছে। গৃহস্থালির ও বাজারের ময়লা-আবর্জনা স্তূপ হয়ে আছে নদীর পাড়ে।
স্তূপে প্লাস্টিকের খালি বোতল থেকে শুরু করে পলিথিন, কলার কাঁদিসহ পরিত্যক্ত নানা সামগ্রী পড়ে আছে। এতে নদীর পানি দূষিত হচ্ছে। আবর্জনা থেকে ছড়ানো দুর্গন্ধে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন আশপাশের বাসিন্দারা।
উপজেলার আমবাড়ী বাজার, দোয়ারাবাজার সদর এলাকায় নদীতীরে স্থানীয় লোকজন নিয়মিত হোটেল-রেস্তোরাঁর পচা ও উচ্ছিষ্ট খাবারসহ নানা রকমের বর্জ্য ফেলছেন। তীরে ফেলার কারণে এসব বর্জ্য গড়িয়ে পানিতে পড়ছে। কয়েক বছর ধরে প্রকাশ্যে এসব বর্জ্য ফেললেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দূষণ রোধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।
আমবাড়ী বাজারে ব্যবসায়ী আব্দুল কাইয়ুম ও নজির আহমদ বলেন, ‘নদীর পানি প্রতিনিয়ত ব্যবহার করতে হয় আমাদের। নদীর তীরে যদি ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয়, তখন পানি দূষিত হয়। পানি কেউ ব্যবহার করতে পারেন না। পঁচা দুর্গন্ধ বের হয়। এতে রোগ জীবাণুও সৃষ্টি হয়।
তাই নদীর তীরের ময়লা-আবর্জনা অপসারণ জরুরি প্রয়োজন। দোয়ারাবাজার এলাকার ব্যবসায়ী মেহেদী আহমেদ বলেন, যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে মশা-মাছির জন্ম হয়। দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে পরিবেশ নষ্ট হয় এবং রোগেরও সৃষ্টি হয়। তাই ময়লা পানি বা আবর্জনা ফেলার আগে পরিবেশ নিয়ে ভাবতে হবে সকলকে। সুন্দর পরিবেশ সুরক্ষা সকলের দায়িত্ব।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মান্নারগাওঁ ইউনিয়নে ইউপি চেয়ারম্যান ইজ্জত আলী বলেন, ‘নদীর তীরের পরিবেশ সুরক্ষায় মানুষকে আরো সচেতন হতে হবে। বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতিকে একাধিকবার বলা হয়েছে নদীতে বর্জ্য না ফেলার জন্য এতে পরিবেশ নষ্ট হয়। আমরা বর্জ্য অপসারণ ব্যবস্থাপনাকে আরো জোরদার করব।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ মোর্শেদ মিশু বলেন, বর্জ্য নিরসনের প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
টিএইচ