দ্বিগুন লাভের আশায় আগাম আলু রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের কৃষকরা। উঁচু সমতল জমিতে আগাম আলু চাষ শুরু হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি বছর ৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ১০০ হেক্টর বেশি। স্বল্পমেয়াদী আগাম আউশ, আমন ধান কাটা মাড়াই শেষ করে সেই জমিতে আগাম জাতের আলু রোপণের জন্য হিমাগার থেকে বীজ সংগ্রহ করে আলু রোপণ করছেন চাষীরা। এ অঞ্চলে আগাম আলু রোপণকে ঘিরে যেন প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে মাঠজুড়ে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দ্বিগুন লাভের আশায় মাঠে মাঠে চলছে আলু রোপণ ও জমি প্রস্তুতের কাজ। এ সময় রণচন্ডী ইউনিয়নের কুটিপাড়া গ্রামের আলু চাষী শাহিনুর জানান, গত বছর ধান কাটার পর ৪ একর জমির আলু ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে টাকা দ্বিগুন লাভ হয়েছে।
এবারো ৫ একরের বেশী জমিতে ৫৫ থেকে ৬০দিনে উত্তোলনযোগ্য সেভেন জাতের আলু রোপণ করছি। এবার আবহাওয়া অনুকূল থাকায় গতবারের চেয়ে ফলন ভালোর আশায় মনের আনন্দে আলু রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছি।
বাহাগিলী ইউনিয়নের আলু চাষী রিপন ইসলাম ১১ বিঘা ও মমতাজ আলী ৬ বিঘা, আব্দুল জব্বার ১৩ বিঘা জমিতে আগাম আলু রোপণ করছেন। তারা জানান, যার আলু যত আগে উঠবে সে কৃষক তত লাভবান হবেন।
এ এলাকার মাটি উঁচু এবং বালু মিশ্রিত হওয়ায় বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত না হলে আগাম আলু চাষে তেমন কোন ভয় থাকে না। ফলন কম হলেও রাজধানীসহ বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে চড়া দামে আলু বিক্রি করে দ্বিগুন লাভবান হওয়া যায়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান হাকিম বলেন, এ উপজেলার মাটি আগাম আলু চাষের জন্য খুবই উপোযাগী। প্রতিবছর এ এলাকার কৃষক আগাম আলু চাষ করে দ্বিগুন লাভবান হন। গত বছরের চেয়ে এবার ১০০ হেক্টর আলু বেশী চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে আমাদের কৃষি অফিস থেকে আগাম আলু চাষে কৃষকদের বিভিন্ন সহযোগিতা করে আসছি।
টিএইচ