ধনবাড়ীতে মনিরা খাতুন (২৯) নামের এক স্কুলশিক্ষিকা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। স্বামীকে পরক্রীয়ায় বাঁধা দিলে তাকে হত্যা করা হয় বলে নিহত পরিবারের অভিযোগ।
ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবার রাতে পৌর শহরের আমবাগান এলাকায় ঘটে।
দীর্ঘদিন যাবত এক কন্যা সন্তান নিয়ে বাসা ভাড়ায় থাকতো। রাতেই মনিরার লাশ উদ্ধার করে ও তার স্বামী রেদোয়ানুল ইসলাম পারভেজকে (৩৫) জিজ্ঞাসাবাদে নিয়ে আসে ধনবাড়ী-থানা পুলিশ। স্কুলশিক্ষিকার মৃত্যু নিয়ে সমালোচনা সৃষ্টি হলে শুক্রবার (২৬ মে) লাশ ময়নাতদন্তে প্রেরণ করে পুলিশ।
রেদোয়ানুল ইসলাম পারভেজ উপজেলার মুশুদ্দি মৌলভীপাড়ার আতিকুল ইসলামের ছেলে। পেশায় একজন ওষুধ বিক্রেতা।
নিহতের চাচা নুরুল ইসলাম ও ভগ্নিপতি শাহাদত হোসেন আলাল জানান, ধনবাড়ী হাসপাতালের তানিয়া আক্তার নামের এক মেডিকেল এসিস্ট্যান্টের সাথে পারভেজ পরক্রীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। এনিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। শারীরিকভাবে অত্যাচার করতো মনিরাকে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে আবারও ঝগড়া হলে মনিরাকে হত্যা করে। পরে সাবার কাছে প্রচার করে মনিরা আত্মহত্যা করেছে। বাসা থেকে মনিরার লাশ একাই হাসপাতালে যায় পারভেজ।
পারভেজের চাচা মো. ফজলুল হকের ভাষ্য, ‘মনিরা আত্মহত্যা করেছে। হত্যা করা হয়নি। আমাদের চাপের মুখে রাখতে মিথ্যা প্রচার করছে।’
ধনবাড়ী থানার ওসি এইচএম জসিম উদ্দিন বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে হাসপাতাল থেকে ওই শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
টিএইচ