চাঁদপুরের মতলব দুই ভাগে বিভক্ত উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ধনাগোদা নদী। দুই মতলবের এই নদী শুষ্ক মৌসুমে কচুরিপানার আধিক্য থাকায় স্থানীয়ভাবে নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
বিশেষ করে আমিরাবাদ লঞ্চঘাট থেকে কালীপুর লঞ্চঘাট পর্যন্ত প্রায় ৫৫ কিলোমিটার এলাকায় কচুরিপানার কারণে নৌযান ও খেয়া পারাপারে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রী ও মাঝিদের। স্থানীয়রা জানান, শ্রীরায়েরচর এলাকার প্রায় তিন কিলোমিটারজুড়ে নৌ চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
নদীর দুই পাড়ে অবৈধ ঝাঁকের (মাছ ধরার ফাঁদ) কারণে জোয়ার-ভাটার সময় পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হয়। ফলে কচুরিপানা সরতে পারে না এবং নদীতে জমাট বাঁধে। এতে দুই উপজেলার বাসিন্দাদের পারাপারে তীব্র সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, মতলব ধনাগোদার মতলব খেয়াঘাট, বাইশপুর, গাজীপুর মোড়, সাহেববাজার, লক্ষ্মীপুর, টরকী, মাছুয়াখাল, শাহপুর, নায়েরগাঁও, দুর্গাপুর, শ্রীরায়েরচর, কালীর বাজার, নন্দলালপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় কচুরিপানার স্তূপ জমেছে। নৌকা পারাপারে যাত্রীদের দুর্ভোগের বিষয়ে পশ্চিম বাইশপুর গ্রামের সাইফুদ্দিন, মোহাম্মদ আলী বেপারী এবং ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন দর্জি বলেন, কচুরিপানার কারণে মাঝিদের সাহায্য করতে আমাদেরও নৌকার হাল ধরতে হয়। কখনও কখনও নৌকা আটকে যায়।
ফলে পারাপার বন্ধ হয়ে যায়। মতলব খেয়াঘাটের ইজারাদার নাজির আহমেদ জানান, কচুরিপানার কারণে অনেক যাত্রী নৌকা ব্যবহার না করে মতলব সেতু হয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হন। এতে রাজস্ব আদায়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
এ বিষয়ে নৌযাত্রী আল-আমিন বলেন, ‘ধনাগোদা নদীতে শুষ্ক মৌসুমে কচুরিপানার সমস্যা বহুবার স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। নৌ চলাচল স্বাভাবিক রাখতে এবং নদীর নাব্যতা বজায় রাখতে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।’
টিএইচ