সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় ফসল রক্ষা বাঁধের ৯৬ টি প্রকল্পের কাজ পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় পিআইসি কমিটির মাধ্যমে চলমান রয়েছে। এ বছর সময় মতো সরকারি টাকা ছাড় পাওয়ায় কাজের গতি দ্রুত হওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ের মাধ্যমে কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন পিআইসি কমিটির সদস্যরা।
ধর্মপাশার ইউএনও ও ধর্মপাশা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাবিটা বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ও ধর্মপাশা উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী (এসও) ও কাবিটা বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম দুজনের দক্ষ দিক নির্দেশনা ও পরিশ্রমের ফলে সারা উপজেলায় আজ পর্যন্ত প্রায় ৮৫% কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ২৮শে ফেব্রুয়ারির মধ্যে শতভাগ কাজ শেষ করার কথা রয়েছে।
ভাটি এলাকার একমাত্র বোরো ফসলের উপর নির্ভর হওয়ায়, এলাকার জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের মানুষ সকলে মিলে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজে সহযোগিতা করে আসছে। সকলের কথা একটাই, আমাদের একমাত্র বোরো ফসল রক্ষার জন্য বাঁধের কাজে সহযোগিতা করছি।
চন্দ্রসোনার থাল, সোনামড়ল, কাইলানি, ধানকোইনা, জয়ধনা, গুরমা, রুইবিল এই সাতটি হাওরে ৯৬ টি পিআইসি কমিটির মাধ্যমে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ চলমান রয়েছে।
চন্দ্র সোনার খাল হাওরের ৩৯নং প্রকল্পের সভাপতি সালাউদ্দিন মাতাব বলেন, আমার বাঁধের কাজ প্রায় শেষ, ঘাস লাগানোর কাজ আর দুদিন করলে কাজ শেষ হবে। তবে ফসল ঘরে উঠার আগ পর্যন্ত বাঁধ রক্ষনাবেক্ষণ করতে হবে।
ধর্মপাশা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী (এসও) ও কাবিটা বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমাদের উপজেলার ৯৬ টি প্রকল্পের কাজের মধ্যে আজ পর্যন্ত ৮৫% কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সঠিক সময়ের মধ্যে শতভাগ কাজ শেষ করতে পারবো আশা করছি।
ধর্মপাশা ইউএনও ও উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাবিটা বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, আজকে দিন পর্যন্ত ফসল রক্ষা বাঁধের ৮৫% কাজ সম্পন্ন হয়েছে, সঠিক সময়ের মধ্যে শতভাগ কাজ শেষ করার জন্য রাত দিন সর্বাত্বক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
টিএইচ