নওগাঁ জেলার ধামইরহাট সীমান্তে দীর্ঘ ৪৫ বছর পর ভূমি বিরোধ সমস্যার সমাধান সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর সীমান্তবর্তী স্থানে এ বিরোধের নিষ্পত্তি হয়।
বর্তমানে সেখানে বিজিবির তত্ত্বাবধানে স্থায়ী সমাধানের জন্য বসানো হয়েছে কংক্রিটের পিলার। ওই স্থানে ভারত সরকার প্রায় ৪৫ বছর ধরে বাংলাদেশের প্রবেশাধিকারে বাধা প্রদান করে আসছে।
১৪ বিজিবি পত্নীতলা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল হামিদ উদ্দিন বিজিবিএমএস, পিএসসি প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা যায়, সীমান্ত পিলার ২৫৭-এর সাব-পিলার ২০ হতে আনুমানিক ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে রামচন্দ্রপুর নামক স্থানে প্রায় এক একর জমি ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতিবেশী ভারত সরকার ভোগদখলে বাধা প্রদান করে আসছিল।
বিষয়টি নিয়ে চলতি বছরের ১২ এপ্রিল বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতকাল বৈঠকের মাধ্যমে উভয় দেশের জেলা পর্যায়ের ল্যান্ড সার্ভেয়ার জমির বিভিন্ন কাগজপত্র যাচাই-বাছাই ও জরিপকার্য পরিচালনা করে। সরেজমিন জরিপ শেষে দেখা যায় বিরোধপূর্ণ জমিটি বাংলাদেশ ভূখণ্ডে অবস্থিত। পরবর্তীতে চূড়ান্ত জরিপকার্য শেষ করা হয়।
গত ৩১ ডিসেম্বর বিকালে আগ্রাদ্বিগুন বিওপির মেইন পিলার ২৫৭-এর সাব-পিলার ১৯-এর কাছে ভারতের অভ্যন্তরে রামচন্দ্রপুর নামক স্থানে বিজিবি-বিএসএফ পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন ১৪ বিজিবি পত্নীতলা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল হামিদ উদ্দিন, বিজিবিএমএস, পিএসসি এবং বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ১৬৪ পতিরাম ব্যাটালিয়নের এক উপ-অধিনায়ক।
দুই অধিনায়কের উপস্থিতিতে উভয় দেশের ল্যান্ড সার্ভেয়ার কর্তৃক বিরোধপূর্ণ জমির জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। বৈঠক শেষে উভয় দেশের ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা শূন্য লাইন চিহ্নিত করে ১০টি কংক্রিটের পিলার স্থাপনের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের বিরোধপূর্ণ ভূখণ্ডের নিষ্পত্তি করেন।
টিএইচ