বগুড়ার ধুনটে আপন চাচাকে হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ভাতিজা আব্দুর রহিমকে (৭০) গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশে সপোর্দ করে র্যাব- ১২।
গত রোববার শেরপুর উপজেলার সীমাবাড়ি ইউনিয়নের চান্দাইকোনা বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার আব্দুর রহিম ধুনট উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের প্রতাব খাদুলি গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে।
জানা যায়, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ১৯৯৯ সালে উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের প্রতাপ খাদুলি গ্রামের গোলাম রহমান মাস্টার প্রতিপক্ষের হাতে খুন হন।
পরে ওই সময়ে তার স্ত্রী বাদি হয়ে ধুনট থানায় একটি মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ তারই আপন ভাতিজা আব্দুর রহিমকে গ্রেপ্তার করে। সে দীর্ঘ ১৯ মাস কারাভোগের পর জামিনে বেড়িয়ে এসে পরিবারসহ আত্মগোপনে যায়।
এরপর পুলিশ ওই মামলার তদন্ত শেষে ৪ জনের নামে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। প্রতিবেদন দাখিলের প্রেক্ষিতে ২০০৪ সালের ২৩ মে আদালত আব্দুর রহিমসহ দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অপর দুই আসামিকে খালাস দেন। এদিকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি হয়ে আত্মগোপনে গিয়েও ক্ষ্যান্ত হয়নি আব্দুর রহিম।
ছদ্মবেশে নিজের ও বাবার নাম পরিবর্তন করে ঠাকুরগাঁও জেলার নতুন বাসিন্দা হিসেবে পরিচয় দেয়। সেখানে তিনি একটি মাদ্রাসা ও দিনাজপুরের বীরগঞ্জে একটি মসজিদে খতিবের দায়িত্ব পালন করে। প্রায় ২৪ বছর পলাতক থাকার পর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আব্দুর রহিমের অবস্থান শনাক্ত করে। পরে গত রোববার র্যাব-১২ এর একটি চৌকস দল বগুড়ার শেরপুর উপজেলার চান্দাইকোনা বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
ধুনট থানার ওসি সৈকত হাসান জানান, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শেরপুর উপজেলার চান্দাইকোনা বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
টিএইচ