শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

নওগাঁয় ৫২৫ কোটি টাকার শীতকালীন সবজি বাণিজ্যের আশা

নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁয় ৫২৫ কোটি টাকার শীতকালীন সবজি বাণিজ্যের আশা

নওগাঁর বাজারে জমে উঠেছে শীতকালীন বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি। এসব শাক-সবজির ভালো দাম পেয়ে খুশি চাষিরা। তাদের  স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত সবিজ চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। এ বছর জেলায় প্রায় ৫২৫ কোটি টাকা শীতকালীন সবজি বাণিজ্যের আশা কৃষি বিভাগের।

 জেলা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলায় ১ লাখ ৩০ হাজার কৃষক শাক-সবজির আবাদ করেছে। এ বছর ১ লাখ ৭৫ হাজার ১৩৪ টন শাক-সবজি উৎপাদনের আশা। জনপ্রতি প্রতিদিন সবজির চাহিদা ২৫০ গ্রাম। 

সেই হিসেবে জেলার চাহিদা ৮৫ হাজার টন। নওগাঁ সদর, বদলগাছী ও মহাদেবপুর উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলার মাঠে দেখা মিলবে শীতকালীন নানা জাতের শাক-সবজি। এসব উপজেলায় শিম, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, মুলা, লাউ, লালশাক ও পালংশাকসহ অন্তত ২৫-৩০ ধরনের শাক-সবজি চাষাবাদ হচ্ছে।

কৃষকরা বলছেন, অন্য ফসলের তুলনায় সবজি চাষ লাভজনক। কীটনাশক ছাড়া এখন আর শাক-সবজির চাষ কল্পনা করা যায় না। সবজি চাষে প্রতি বিঘাতে কীটনাশকে খরচ পড়ে অনন্ত ১২-১৪ হাজার টাকা। 

নওগাঁ সদর উপজেলার শুকুর চাঁদপুর গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, তার চাষের জমি চার বিঘা। যেখানে সারা বছর শিম, পটল, বেগুনসহ বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজির আবাদ করেন। এ বছর দুই বিঘা জমিতে শিমের আবাদ করেছেন। বিঘাপ্রতি খরচ হবে অন্তত ৪০-৪৫ হাজার টাকা। যেখানে শিম বিক্রি হবে বিঘাপ্রতি লক্ষাধিক টাকা। চার বিঘা জমিতে বছর শেষে বেচাকেনা হবে অন্তত ৪ লাখ টাকা। খরচ বাদ দিয়ে লাভ থাকবে প্রায় ২ লাখ টাকা।

আরেক কৃষক ছায়েদ উদ্দিন বলেন, সবজিতে প্রায় কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। সঠিক কীটনাশক ব্যবহার করা গেলে অর্থের অপচয় কম হবে। এতে ভালো ফলাফলের পাশাপাশি আমরা লাভবান হতে পারব। এজন্য প্রয়োজন সচেতনতা তৈরি করা। 

সবজি পাইকারি ব্যবসায়ী মানিক হোসেন বলেন, জেলায় বিভিন্ন ধরনের প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজির আবাদ হয়। সারা বছরই এসব সবজি ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় আমরা সরবরাহ করে থাকি। চলতি মৌসুমে ফুলকপি, লাউ ও শিম সরবরাহ করা হচ্ছে।

নওগাঁ কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, জেলায় ৯ হাজার হেক্টর জমিতে ২৫-৩০ ধরনের শীতকালীন বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজির আবাদ হয়েছে। জেলায় জনসংখ্যা বিবেচনায় সবজির চাহিদা রয়েছে ৮৫ হাজার টন। জেলার চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত সবজি চলে যায় দেশের বিভিন্ন জেলায়। এ জেলায় প্রায় ৫২৫ কোটি টাকা শীতকালীন সবজি বাণিজ্যের আশা। কৃষিবিভাগ থেকে শাক-সবজি চাষে কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ প্রদান করা হয়।

টিএইচ