নরসিংদীতে মোবাইল ব্যাংকিং নগদের ২ কর্মীকে গুলি করে ৬০ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। এ সময় তাদের দখল হতে লুট হওয়া ৬০ লাখের মধ্যে ১৬ লাখ টাকা জব্দ করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে নরসিংদীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গতকাল সোমবার (২৯ এপ্রিল) ১ জন ও ১০ এপ্রিল ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান পুলিশ সুপার।
গ্রেপ্তাররা হলেন, নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ইছাখালী (পশ্চিমপাড়া) এলাকার মোশারফ মিয়ার ছেলে মো. সোলাইমান মিয়া (৩৭), মাধবদী থানার জিতরামপুর (চরদিঘলদী) এলাকার মৃত লিটন মিয়ার ছেলে মো. হৃদয় (২৪) ও সদর থানার নরসিংদী পৌর এলাকার শালিধা মহল্লার মৃত অলি মিয়ার ছেলে বিধান মিয়া (৩০)। গ্রেপ্তার বিধান মিয়া আদালতে ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দীতে ঘটনার বিবরণসহ জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মো. দেলোয়ার হোসেন পাঠান ও মো. শাহিন নামে নগদের দুই কর্মী টাকা নিয়ে নরসিংদী শহর হতে রায়পুরা যাওয়ার পথে গুলি করে ৬০ লাখ টাকা ছিনতাই করে অজ্ঞাত ছিনতাইকারীরা বলে অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় রায়পুরা থানায় মামলার পর তদন্তে নামে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে প্রথমে গত ১০ এপ্রিল শিবপুরের কলেজ গেট এলাকা হতে হৃদয় ও সোলাইমান মিয়া নামে ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের নিকট হতে লুট হওয়া টাকার মধ্যে ২ লাখ টাকা জব্দ করা হয়।
পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার মাধবদী থানাধীন পাঁচদোনা মোড় হতে বিধান মিয়া নামে জড়িত আরও ১ জনকে গ্রেপ্তার ও নিকট হতে লুষ্ঠিত টাকার ১৪ লাখ টাকা জব্দ করা হয়। মঙ্গলবার আদালতে দেয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দীতে বিধান মিয়া জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
তদন্তের স্বার্থে নাম প্রকাশ না করে এ ঘটনায় জড়িত বাকী আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান পুলিশ সুপার। বিভিন্ন অপরাধে সোলাইমান মিয়ার বিরুদ্ধে ৪টি ও মো. হৃদয়ের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
এর আগে গেল ৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় নরসিংদী শহর হতে ৬০ লাখ টাকা নিয়ে রায়পুরা যাওয়ার পথে রায়পুরার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের হাসনাবাদ (মাহমুদনগর) এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন নগদের ২ কর্মী পলাশ উপজেলার ইছাখালি এলাকার চাঁন মিয়ার ছেলে মো. শাহিন মিয়া (২৫) এবং একই উপজেলার চরমাহমুদপুর পাঠান বাড়ী গ্রামের রশিদ পাঠানের ছেলে দেলোয়ার হোসেন ওরফে কামাল পাঠান (৫০)।
সংবাদ সম্মেলনে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রইম অ্যান্ড অপস্) অনির্বাণ চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( ডিএসবি), শামসুল আরেফিন, ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খোকন চন্দ্র সরকারসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
টিএইচ