শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
The Daily Post

নদ-নদী ভাঙন আতংকে মাদারীপুরের মানুষ

মাদারীপুর প্রতিনিধি

নদ-নদী ভাঙন আতংকে মাদারীপুরের মানুষ

মাদারীপুর জেলার বিভিন্ন নদের ভাঙনে আতংকে দিন কাটাচ্ছে জেলাবাসী। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত কেউ আবেদন করলে তাদের আশ্রায়ণসহ সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন মাদারীপুর জেলা প্রশাসন।

মাদারীপুর জেলার ৩ উপজেলার ৪টি নদ-নদীর ১৫ স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে অনেকেই হারাচ্ছেন তাদের ভিটাবাড়ি। নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে ফসলিজমি। ভাঙনরোধে মাদারীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরিভাবে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু করেছে।

মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের জাফরাবাদ গ্রামের মালাই সরদার। ১০৫ বছর বয়সে বারবার শিকার হয়েছে নদী ভাঙনের। এমনকি সহধর্মিনী ৮৫ বছরের ফুলজান বিবিও স্বাক্ষী নদী ভাঙনের। এই দম্পত্তি ৩ বার নদী ভাঙনে সর্বস্ব হারিয়ে সদর উপজেলার জাফরাবাদ এলাকায় আড়িয়াল খাঁ নদের পাড়ে গড়েছিল নিজেদের বসতি। জীবনের শেষ বয়সে এসে আবারও ভাঙনের শিকার হয়ে সর্বস্ব হারানোর দ্বারপ্রান্তে পরিবারটি। 

বাড়ির সামনে নদীর পারে বসে সর্বনাশা আড়িয়াল খাঁর ভাঙন দেখছে বাকরুদ্ধ হয়ে। বুকের গভিরে অনেক অভিমান অভিযোগ থাকলেও বাকরুদ্ধ এই পরিবারের মুখে যেন কোন ভাষা নেই। বারবার ভাঙনের কথা আর সরকারের কাছে সাহায্য চাওয়া ছাড়া কিছু বলতে পারছে না মালাই সরদার ও ফুলজান বিবি। স্থায়ীভাবে নদী ভাঙনরোধে সরকার দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এমনটাই দাবি ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষের।

শুধু মালাই সরদার আর ফুলজান বিবিই না। মাদারীপুর  জেলার ৩ টি উপজেলার  শত শত পরিবার পড়েছে ভাঙনের মুখে। নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি। জেলা সদর, রাজৈর ও কালকিনি উপজেলায় আড়িয়াল খাঁ নদ, আপার কুমার নদ, লোয়ার কুমার নদ ও টরকী নদীর ১৫টি স্থানে দেখা দিয়েছে ভাঙন। ভাঙনের কবলে পরে দিশেহারা অনেক পরিবার। 

জরুরিভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলে স্থায়ীভাবে ভাঙনরোধ করা যাবে না। এজন্য বড় আকারের প্রকল্প করে রোধ করতে হবে নদীভাঙন জানালেন মাদারীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সানাউল কাদের খান।

মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান জানান, নদী ভাঙনের শিকার পরিবারগুলোকে আশ্রয়ণসহ সবধরণের সাহায্য করা হবে।

টিএইচ