ঢাকার নবাবগঞ্জের আলালপুর থেকে দুবাই প্রবাসী মো. রাশেদের স্ত্রী নুসরাত জাহানের (২৫) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ জুন) পুলিশ তার শ্বশুর বাড়ির ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত থাকা মৃতদেহ উদ্ধার করে। নুসরাত স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষে লেখাপড়া করতো।
নুসরাতের স্বজনরা বলেন, কিছুদিন যাবত স্বামী রাশেদের সঙ্গে নুসরাতের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিলো না। তার শাশুড়ি রাশেদাও সাংসারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া করতো।
গত সোমবার সন্ধ্যায় বাবার বাড়ি থেকে ফিরে রাতে স্বামীর সঙ্গে তার মোবাইলে কথা হয়। এরপর যে কোনো সময় সে আত্মহত্যা করতে পারে বলে পুলিশ জানায়। ঝুলন্ত অবস্থায়ও তার কানে মোবাইল হেডফোন ছিলো বলে বারুয়াখালী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই বোরহান উদ্দিন জানান।
নুসরাতের মা হেলেনা বেগম অভিযোগ করেন, তার মেয়েকে শ্বশুর শাশুড়ি হত্যা করেছে। এখন তারা আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার পায়তারা করছে। বিয়ের পর থেকেই মেয়েকে নানাভাবে মানসিক নির্যাতন করা হতো। মেয়ে হাসিখুশি অবস্থায় আমার কাছে থেকে বিদায় নিয়ে স্বামীর বাড়ি যাওয়ার পরেই এ ঘটনা ঘটে।
নুসরাতের শাশুড়ি রাশেদা বেগম বলেন, ছেলের বউ সন্ধ্যায় বাড়ি এসে আমার হাতে ৫ হাজার টাকা দেয় এবং ২৫ হাজার টাকা দেনা বাবদ পরিশোধ করবে বলে জানায়। পরে রাতে ছেলের বউ তার নিজ ঘরে শুয়ে ছিলো। আমি আর কিছু জানি না। মৃত নুসরাত জাহান দোহার উপজেলার বাস্তা গ্রামের সামাদ লস্করের মেয়ে। নিহতের স্বামী দুবাই প্রবাসী মো. রাশেদ নবাবগঞ্জের বারুয়াখালী ইউনিয়নের আলালপুর গ্রামের মো. চাঁন মিয়ার ছেলে। নিহত নুসরাতের ৪ বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রযেছে।
নবাবগঞ্জ থানার ওসি মো. শাহ জালাল বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে থাকা নুসরাতের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। মরদেহ সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা প্রেরণ করার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
টিএইচ