বেশ কয়েক মাস পর আবারও অস্থির পেঁয়াজের বাজার। কোরবানি ঈদের আগে এক দফায় বেড়ে কিছুদিন স্থির থাকার পর এবার কেজিতে আরও ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। টাঙ্গাইলের নাগরপুর বাজারে এখন ১০০-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি পেঁয়াজ। দীর্ঘদিন পর পেঁয়াজের বাজারে সৃষ্ট এ অস্থিরতায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ক্রেতা সাধারণ জনগণ।
ব্যবসায়ীরা অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাচ্ছেন সরবরাহ সংকট। শুক্রবার (৫ জুলাই) নাগরপুর সদর কাঁচা-বাজারে কোরবানি ঈদের সময় বাজারে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে পেঁয়াজ। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০০-১১০ টাকা। মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। গত তিন দিনেই বেড়েছে ১০ টাকা।
পাইকারি ব্যবসায়ী মো. ছেকান আলী বলেন, ভারত থেকে চার-পাঁচ মাস পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। এর ফলে বাজারে সরবরাহ কম ছিল। সেই সময় মানুষ বেশি পরিমাণে দেশি পেঁয়াজ কিনেছেন। পরে আবার ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেয় কিন্তু এর ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এতেই দেশে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়।
ফলে বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম দেশি পেঁয়াজের চেয়েও বেশি পড়ছে। এছাড়া বর্তমানে ভারত থেকে কম পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে বলেও জানান।
খুচরা বিক্রেতা মো. জহির উদ্দিন মিয়া বলেন, আমাদের মতো খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে আলাদা করে পেঁয়াজের কোন মজুত নেই। গৃহস্থদের কাছে যা আছে সেগুলোই খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে আসছে। গৃহস্থরা এবার আস্তে আস্তে বাজারে পেঁয়াজ ছাড়ছে সব একবারে ছাড়েনি তাই দাম উঠানামা করছে।
কৃষিবিভাগ তথ্য মতে, দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ৩০ লাখ টন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে উৎপাদন হয়েছে ৩৫ লাখ টন। হিসাব অনুযায়ী চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন বেশি আছে। বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি হওয়ার কথা নয়।
টিএইচ