রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

নাটোরে দেনমোহর হিসেবে কনে নিলেন ‘গাছ’

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরে দেনমোহর হিসেবে কনে নিলেন ‘গাছ’

ইসলাম ধর্ম মতে বিয়েতে কনেকে দেনমোহর প্রদান একটি রীতি। যাতে একটি মেয়ের সম্পূর্ণ অধিকার থাকে। দেনমোহর কতো নির্ধারণ করা হবে তা নিয়ে বেশির ভাগ বিয়েতেই বর ও কনে পক্ষের অভিভাবকদের মধ্যে প্রায়ই বাকবিতন্ডা লেগেই থাকে। 

এমন অবস্থায় দেনমোহর নিয়ে ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ নিয়েছে নাটোরের কনে সুকৃতি আদিত্য। তিনি কোন নগদ অর্থ বা গহনা নয়, দেনমোহর হিসেবে গাছ নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন। এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়ে সুকৃতি-নাবিন দম্পতি বিয়ের দিন গাছ লাগিয়ে বলেছেন, দেনমোহর নিয়ে যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলছে তা দূর করে ভালবাসাটাকে প্রাধান্য দিতেই গাছ নিয়ে তাদের এমন আয়োজন। 

গত শুক্রবার নাটোর সদরের দিঘাপতিয়া ইউনিয়নের ঐতিহাসিক উত্তরা গণভবনের পাশে এম. আসলাম লিটন-সুস্মিতা দম্পতির বাড়িতে তাদের মেয়ে সুকৃতি আদিত্যের বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে কনে সুকৃতি বর নাবিন আদনানের কাছ থেকে দেনমোহর হিসেবে নেয়া ৫টি ফলদ ও বনজ গাছের চারা রোপণ বরেন। তাদের সাথে এলাকার ছোট বড় অনেককেই সেই গাছের চারাগুলো রোপণ করে তা পরিচর্যায় ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। 

কনের বাবা এম. আসলাম লিটন জানান, পূর্ব পরিচয় থাকলেও দুই পরিবারের সম্মতিতে ঘরোয়া পরিবেশেই বিয়ে সম্পন্ন হয় সুকৃতি-নাবিনের। আর বিয়ের অন্যতম আকর্ষণ ছিল দেনমোহর হিসাবে পরিবেশবান্ধব গাছ। দেনমোহর হিসাবে আপাতত বরের কাছ থেকে ৫টি ফলদ ও বনজ গাছ নেন কনে সুকৃতি। 

তিনি বলেন, তার মেয়ে সুকৃতি আদিত্য সিন্ধান্ত নিয়েছিল যে, বিয়েতে সে মোহরানা নেবে না। অভিভাবক হিসাবে তারা সুকৃতির সেই সিন্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। 

কনে সুকৃতি আদিত্য বলেন, বর্তমানে অনেক বিয়েতে দেনমোহর নিয়ে যে অসুস্থ প্রতিযোগিতাটা চলছে। আমার মনে হয় তা থেকে আমাদের বেড়িয়ে আসা উচিত। কারণ বিয়ে মানেই আর্থিক লেনদেনটা মুখ্য না। দুটি মানুষের মনের মিল হওয়াটাই বড় ব্যাপার। 

বর নাবিন আদনান জানান, দেনমোহরের বিষয়বস্তুটা হচ্ছে নিরাপত্তা। আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের নিরাপত্তার চাইতে পরিবেশের নিরাপত্তা বেশী জরুরি। 

টিএইচ