রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

নাটোরে ধর্ষণের দায়ে শিক্ষকের যাবজ্জীবন

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরে ধর্ষণের দায়ে শিক্ষকের যাবজ্জীবন

নাটোর সদর উপজেলায় শিশু (১০) ছাত্রীকে প্রশ্ন দেখানোর প্রলোভনে ধর্ষণের দায়ে প্রাইভেট শিক্ষক হযরত আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

সোমবার (১৮ নভেম্বর) নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম আসামির উপস্থিতিতে এ আদেশ দেন। শিশুটি বাগরুম ব্রাক শিশু নিকেতনের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত হযরত আলী নাটোর সদর উপজেলার বাগরুম মহল্লার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে ও বাগরুম ব্রাক শিশু নিকেতনের শিক্ষিকা সুফিয়া বেগমের স্বামী।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৮ জুলাই শিশু শিক্ষার্থী প্রাইভেট পড়তে ব্রাক স্কুলে যায়। প্রাইভেট পড়া শেষে অন্য শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে শিশু ছাত্রীকে প্রশ্ন দেখিয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এঘটনা জানাজানি হলে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দিবে ও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে ১২ জুলাই শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। ঘটনা জানতে চাইলে শিশুটি ঘটনাটি তার মাকে জানায়। 

ঘটনার পর শিশুটির বাবা শিক্ষক হযরত আলীকে অভিযুক্ত করে সদর থানায় মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করে হযরত আলীর বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। 

নাটোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল কাদের মিয়া জানান, দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ৬ বছর মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণ শেষে আদালতের বিচারক হযরত আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করেন। রায়ে উল্লেখ করা হয় জরিমানার অর্থ শিশুটি পাবেন।

টিএইচ