অবশেষে মুক্তিপণ দিয়ে ৬২ দিনের মাথায় স্বজনদের কাছে ফিরলেন সোমালি জলদস্যুর কাছে জিম্মি থাকা ২৩ নাবিক। মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেল চারটার পর এমভি জাহান মণি নামে একটি লাইটার জাহাজ করে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল-১ (এনসিটি) নম্বর জেটিতে পৌঁছেন।
জাহাজ থেকে নামতেই মুক্ত হওয়া ২৩ নাবিক ও তাঁদের স্বজন একে অপরকে বুকে জড়িয়ে গালে চুম্বন খেয়ে চোখ থেকে আনন্দের অশ্রু ঝরিয়ে এক অনন্য আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি করল।আবেগঘন পরিবেশ উপস্থিত সকলের চোখ থেকে অশ্রু ঝরিয়েছেন। মা বলছেন ও বাপ তোকে ফিরে পেয়েছি দুনিয়ায় এর চেয়ে সুখ আনন্দ আর কিছুই নেই। সন্তান বলছে,বাবা আমাদের কিছুর দরকার নেই। শুধু তোমাকে দরকার বাবা।আল্লাহ আমার বাবাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন তার জন্য আল্লাহর দরবারে মাথা মাথা ঠুকিয়ে কপাল ফাটিয়ে শুকরিয়া আদায় করেও শুকরিয়া শেষ হবে না।
মুক্ত হওয়া নাবিক বলছেন, ও মা মাগো তোমাকে, আমার কলিজার টুকরো পরিবার স্বজন ও দেশে ফিরতে পেরে যেন দ্বিতীয়বার দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন আল্লাহপাক। দুনিয়াবী এর চেয়ে সুখ শান্তি আনন্দের আর কিছুই হতে পারে না। এইভাবে স্ত্রী প্রিয় স্বামীকে বুকে জড়িয়ে কান্না কোন মতে থামাতে পারছে না। ভাই বোনসহ সকল স্বজনদের সাথে ৬২ দিন এর মাথায় মুক্ত হওয়া ২৩ নাবিকদের মিলনের দৃশ্য সকলের চোখ থেকে অশ্রু ঝরিয়েছেন।
চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল নাবিকদের বরণ করেন এবং উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মেয়র রেজাউল করিম এবং অনলাইনে যুক্তছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.হাসান মাহমুদ ও কেএসআরএম কর্তৃপক্ষ।
ফিরে আসা নাবিকরা কেএসআরএম, সরকার ও দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি সোমালিয়ার দস্যুরা ছিনতাই করেছিলো।যেখানে ছিলেন মুক্তহওয়া এই ২৩ নাবিক। মুক্তিপণ দিয়ে ৩৩ দিনের মাথায় ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে জাহাজটি মুক্ত হয়। এরপর জাহাজটি প্রথমে আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরে পৌঁছায়।
টিএইচ